ঢাকার মহাখালীতে সাততলা বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে শত শত ঘর ও আসবাব সামগ্রী। অবৈধ বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ থেকে এ আগুন ছড়িয়েছে বলে জানালেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন। সোমবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ফায়ার ডিজি বলেন, সোমবার ভোর ৩ টা ৫৯মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ১৩ মিনিটের মধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তখন থেকে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ভোর ৬ টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বস্তিতে টিনের ঘর অনেক বেশি সেপারেশন না হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাইনি। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। বস্তিতে ১০০ এর বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুনের সূত্রপাত ও কারণ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস কী মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এখানে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করছি, এ দুটোর যেকোনো একটি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
তিনি বলেন, সাততলা বস্তি ঘনবসতি এবং বেশি সেপারেশন না থাকায় ফায়ায় সার্ভিসের কর্মীরা আগুনের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার জন্য বস্তিতে লাগা আগুন নেভাতে সময় বেশি লেগেছে। এছাড়া দাহ্য বস্তু উপস্থিতি বেশি থাকায় আগুন বেশি ছড়িয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, সাততলা বস্তিতে লাগা আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চার সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটিতে একজন ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) নেতৃত্ব দেবেন। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে আগুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।