মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার চা শিল্পের প্রসার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, চা ও চা সামগ্রী প্রদর্শনী এবং নতুন চায়ের জাতের উম্মুক্তের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে জাতীয় চা দিবস।
শুক্রবার ৪ জুন শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে বের করা হয় এক শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি চা গবেষণা কেন্দ্রের ক্যাম্পাস ও আসে পাশের এলাকা ঘুরে আবার চা গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান গোলাম মোঃ শিবলী।
চা গবেষনা কেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা ড. শেফালী ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল এর সিনিয়র এ এসপি মো: শহিদুল হক, হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাহবুবুর রহমান।পর প্রদর্শীত হয় বাংলাদেশে আবিস্কৃত ২৩টি চায়ের জাত, চা ফ্লেভারের বিস্কুট, সাবান ও মাস্ক।
এদিকে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল লেবার হাউজে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা।
উল্লেখ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সোনার বাংলার রূপকার, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডে প্রথম বাঙালী চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়ারম্যানের আসনটি অলংকৃত করেছিলেন। তাঁর সময়কালে নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ। যা বাংলাদেশ চা শিল্পকে করেছে সাফল্যমন্ডিত। চা শিল্পে ৪ঠা জুনের এই মাহেন্দ্র ক্ষণটিকে স্ম^রনীয় করে রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার দিনটিকে ’জাতীয় চা দিবস’ ঘোষনা করেছে। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রথমবারের মত ৪ জুন ২০২১ সালে জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে।