তুচ্ছ ঘটনাকে জের ধরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিবেশীরা। বুধবার রাতে ফতুল্লার পাগলা নন্দলালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
আহতরা হলেন- নন্দলালপুর এলাকার মৃত. বাছেদ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান সেলিম (৪২) ও তার স্ত্রী দিয়া আক্তার (৩৪) এবং সেলিমের ছোট বোন নাজমা আক্তার (১৮)।
বাড়ির সামনের সড়কে ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী মৃত. তাহের আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৫০) ও তার স্ত্রী লাকী আক্তারসহ (৪৫) অজ্ঞাত আরও ১২ জন বুধবার রাতে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সেলিমের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তাকে বাড়ির কাছে পেয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। ওই সময় স্ত্রী সামনেই ছিল এবং তিনি তাকে উদ্ধারে বার বার চেষ্টা করেন বলে জানান আহত সেলিম।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে আব্দুল লতিফ আমার স্ত্রীর সামনেই আমাকের হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ মারতে থাকে। তখন আমার স্ত্রী চিৎকার করে আমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে আব্দুল লতিফ চাপাতির বাট দিয়ে আমার স্ত্রীর মুখে আঘাত করলে বাম চোখে লাগে। এতে আমার স্ত্রীর চোখে মারাত্মক জখম হয়। এরপর আমার ছোট বোন নাজমার ডাক চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে আব্দুল লতিফ তার লোকজন নিয়ে চলে যায়। তারা যাওয়ার সময় নাজমাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মেরে জখম করে যায়। এ ঘটনায় আহতরা শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।