বরিশালে মহানগর বিএনপিতে আবারো দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকজন সহ সভাপতি ও অনুসারী নিয়ে আলাদা হলেন ফারুক।
গত ২ জুন বুধবার এক দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার এ দ্বন্ধের কথা স্বীকার করে বলেছেন, বহিরাগত কিছু লোক আওয়ামী লীগের মদদে দলকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র করছে। এরই উত্তরে মহানগর বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান ফারুক জানালেন তার ক্ষোভের কথা।
বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকায় মজিবর রহমান সরোয়ার এর বক্তব্য তাকে ইঙ্গিত করেছে তা তার কথায় স্পষ্ট হলো।
তিনি ক্ষোভের সাথে জানালেন, বরিশালে আওয়ামী লীগ মানেই যেমন হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার পরিবার পরিজন তেমনি এখানে বিএনপি মানে মজিবর রহমান সরোয়ার ও তার আত্মীয় পরিজন। এর বাইরে কাউকে আসতে দেয় না তারা দেবেওনা। একজন লোক একাধারে সংসদ সদস্য ও মেয়র। আবার সাংসদ আবার মেয়র। মহানগর ও জেলার সভাপতি আবার কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব। তার কাছের লোকেরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছে। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের তিনি মূল্যায়ন হতে দেন না। কারণ কেন্দ্রে শুধু তার লবিং চলে। এই নিয়ম ভাঙা জরুরী।
এর আগে জেলার সভাপতি ছিলেন সরোয়ার। তখন এবাদুল হক চান এর সাথে তার দ্বন্দ্ব হলে চান আলাদা হয়ে যান।
গত সমাবেশে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়েই এ দ্বন্ধের শুরু বলে জানান ফারুক।
তিনি আরো বলেন, সরোয়ার ক্ষমতার দাপটে এতোটাই অন্ধ হয়েছেন যে, সব কর্মীদের তিনি লাগেজ বহনকারী মনে করেন। তার পছন্দ মতো চলতে পারলে তবেই তাকে পদ প্রদান করেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে বরিশালে এমনিতেই বিএনপির কোনো অস্তিত্ব থাকবেনা। নেতৃত্ব তৈরীর সুযোগ না থাকলে নতুন নেতৃত্ব কে দেবে? সুযোগ তো দিতে হবে।
৩ জুন বৃহস্পতিবার সাময়িকীর প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মনিরুজ্জামান ফারুক।
ছাত্রদল কমিটি নিয়ে বিরোধিতার পরে যুবদলের কমিটি নিয়েও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের সাথে মজিবর রহমান সরোয়ারের দ্বন্দ্ব আজো চলছে বলে জানা গেছে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন দক্ষিনের সহ সভাপতি জানান, সরোয়ার ভাইয়ের অবদান অস্বীকার করবো না। মনিরুজ্জামান ফারুক ভাই তার হাত ধরেই বিএনপিতে এসেছেন। কিন্তু আজ অবস্থা এমন হয়েছে যে, বিএনপি নয়, মানুষ ব্যক্তি সরোয়ার কে চেনে। এটা ক্ষতিকর। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে ভাবা উচিত।