কয়রায় বাঁধের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে শ্রমিকের ধাওয়ার মুখে পড়েছেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু। শ্রমিকদের ক্ষোভের মুখে পালিয়ে যান ঐ সংসদ সদস্য।
মঙ্গলবার (১ জুন) খুলনার কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় বাঁধ নির্মাণকাজ করছিলেন স্থানীয় জনতা। দুপুর ১২টার দিকে সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ট্রলারযোগে সেখানে যান। তাকে বহনকারী ট্রলার দেখে জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ও সাংসদকে লক্ষ্য করে ট্রলারে কাদা ছোড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে সাংসদকে বহনকারী ট্রলারটি অপর পাড়ে চলে যায়।
এরপর স্থানীয় নেতাদের সহায়তায় জনতাকে শান্ত করে সাংসদ কে নিয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজে নামেন। তখন জনতা বাঁধের নির্মাণকাজ থেকে উঠে যান। সাংসদও সেখান থেকে চলে যান।
তবে সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান দাবি করেছেন, তাকে বহনকারী ট্রলারে কাদা ছুঁড়ে মারা হয়নি। তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষ চান টেকসই বেড়িবাঁধ। প্রতিবছর ভাঙনে তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। ভাঙন এলাকায় কাজ করছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সেখানে গেলে তাকে দেখে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
তিনি বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক। বারবার বাঁধ ভাঙে আর বারবার স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের কাজ করতে হয়। এ কারণে এমপির ওপর তাদের ক্ষোভও বেশি। পরে ওই এলাকায় নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাঁধের কাজ করি।
বাঁধে কাজ করা মানুষের কাছ থেকে জানা গেছে, ইয়াসের আঘাতে বাঁধ ভেঙে মহারাজপুর ও পাশের বাগালী ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে গত বুধবার ভেঙে যাওয়া বাঁধ এখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে নিয়মিত জোয়ার-ভাটা আসা-যাওয়া করছে গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে।