শাহজাদপুরে তুচ্ছ ঘটনা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে মারপিট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৩১ মে) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শাহজাদপুর উপজেলার আলোকদিয়ার মধ্যপাড়া মহল্লায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, পুনরায় সংঘর্ষের আশংকায় এলাকাবাসী বিচলিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘আলোকদিয়ার ঈদগাহ মাঠে ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিতব্য একটি ইসলামি জলসায় মাওলানা কাশেমী ছাহেবকে প্রধান বক্তা করা নিয়ে সুন্নী ও ওহাবী অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই জেরে সোমবার সন্ধ্যায় সুন্নী অনুসারী বাবু, রফিক ও মোন্নাফের সাথে ওহাবী অনুসারী রোমানের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে পুঁজি করে এদিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে নূর আমিন লালনের নেতৃত্বে শাহান, সিরাজ, আসলাম, নয়ন, মোহন স্বপন, নিশাত, তুষার, রফিকসহ ১০/১৫ জনের একটি দল রামদা, হাসুয়া, লাঠি ফালাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাজী নকির প্রামাণিক, হাজী চাঁদ উল্লাহ, কোরবান প্রামাণিক, ওমর প্রামাণিক, রশিদ প্রামাণিক, জব্বার প্রামাণিক ও রহমত প্রামাণিকের বাড়িতে রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় হাজী নকিরের ছেলে এমদাদুলের দোকানপাট ও একটি দামী মোটরসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়। ঘন্ট্যাব্যাপী এ সন্ত্রাসী তান্ডবলীলা চলাকালে মহল্লার নারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে। সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোকজনদের ঘটনাস্থলে প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি করে হামলাকারীরা।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও ওই মহল্লায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় সংঘর্শের আশংকায় এলাকাবাসী বিচলিত হয়ে পড়েছে।