এখন এই মুহূর্তে আমরা যদি ‘লিভস্ অব গ্রাস’ কাব্যগ্রন্থটির সূচিপত্র সামনে তুলে ধরি, তা হলে দেখতে পাব প্রায় সাড়ে চারশোর মতো কবিতা রয়েছে সেখানে। অথচ এই বইটি আঠেরটশো পঞ্চান্ন সালে যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন এই বইটিতে কবিতার সংখ্যা ছিল মাত্র বারোটি। এই অল্প সংখ্যক কবিতার পাতলা চটি বইটিই পরবর্তিকালে একটি অসামান্য সাহিত্যকীর্তি হিসেবে গোটা বিশ্বের সর্বত্র স্বীকৃতি পায়।
বইটির কবিতাগুলি লিখেছিলেন আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান। সারা জীবন ধরে তিনি এই একটিই মাত্র কবিতার বই লিখে গেছেন। তাঁর বয়স যখন বছর ছত্রিশ, তখন এই সংকলনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
তা হলে আজ ‘লিভস অব গ্রাস’-এ কবিতার সংখ্যা এত হল কী করে! আসলে এই বইটি বেরোবার পরেও আরও অনেক কবিতা লিখেছেন এই কবি এবং সেগুলিকে নিয়ে আর আলাদা কোনও বই না করে, প্রকাশিত ওই বইয়েরই পরবর্তী সংস্করণগুলোতে কিছু কিছু করে জুড়ে দিয়েছেন।যখন যে ক’টা লেখা হয়েছে, সে ভাবেই অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। এই ভাবে প্রত্যেক সংস্করণে নতুন কবিতা যোগ করতে করতে কবির বয়স যখন তিয়াত্তর বছর, অর্থাৎ যে বছরে কবি মারা যান।
আঠারোশো বিরানব্বই সালে এই বইটির নবম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বইটিতে কবিতার সংখ্যা তখন চারশো তেইশ।
মাত্র একটি বইতে এই ভাবে প্রত্যেক সংস্করণে পরবর্তী লেখাগুলো যোগ করে করে, জীবনের সমস্ত কবিতা একই গ্রন্থে বন্দি করার প্রথম নজির সৃষ্টি করেন ওয়াল্ট হুইটম্যান।