বগুড়ার শেরপুরে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২। এ সময় তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৩১ মে) সন্ধ্যার দিকে তাদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মামলা দায়েরের পর বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আশগ্রামের দশের আলীর ছেলে মিলন মিয়া (৪২), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মহিসাচাপর গ্রামের হেলাল উদ্দীন (৪৫) ও একই গ্রামের শ্রী মন্টু চন্দ্র মাহাতো (৫০)।
এর মধ্যে মিলন মিয়া ভবানীপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য হাসিনা বেগমের স্বামী বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সংরক্ষিত নারী সদস্য হাসিনা বেগমের বাড়িতে গাঁজা-ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্যের বড় ধরনের চালান এসেছে বলে গোপনে খবর পান টহলরত সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২’র সদস্যরা। এরপর সোমবার (৩১ মে) বিকেলের দিকে সেখানে অভিযান চালান তারা। এ সময় বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে ওইসব মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উদ্ধার হওয়া গাঁজাসহ গ্রেফতারকৃতদের থানায় সোপর্দ করার পর র্যাবের কর্মকর্তা মোশতাক হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। পরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশকিছুদিন ধরেই উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ওই সংরক্ষিত নারী সদস্যের প্রভাব খাটিয়ে তার স্বামী মিলন মিয়া মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। পাশাপাশি তিনি নিজেও মাদক সেবন করতেন। কিন্তু ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। একপর্যায়ে সোমবার বিকেলে মিলন মিয়া তার বাড়িতেই মাদকদ্রব্য বিক্রি করছিলেন। পরে র্যাব সদস্যরা খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানান তারা।
তবে মাদকদ্রব্যের বড় ধরনের চালান আসার আগাম সংবাদ পেয়ে মাত্র দেড় কেজির গাঁজা উদ্ধার নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে। কেউ কেউ এটাকে সাজানো ও শত্রুতার জের বলেও মন্তব্য করেছেন।