আচ্ছা সেই ছেলেটা এখন কেমন আছে?
এই লকডাউন সময়ে,
যে শরীরে কৈশোর না পেরোতেই মনে সাবালক হয়েছে।
ওর নামটা কি ছিল যেন?
ভুলে যাওয়া রোগ আমার,
মনে করতে পারছি না।
উজ্জ্বল চোখের সপ্রতিভ ছেলেটির নাম ধরে নেই বাদল,
বুড়িগঙ্গা তীরে মেসে থাকে।
সারাদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে ঘুরে,
ঘটিগরম,চানাচুর বিক্রি করে।
রাত দশটার দিকে মেসে ফিরে, বাকি সাথিদের নিয়ে নিজেরা রান্না করে খায়।
কেমন বয়স্ক মানুষের মতো দিনলিপি ওর।।
হ্যাঁ ওর চানাচুর খেতেও কিন্তু খুব স্বাদ,
কথায় কথায় অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম ওর সাথে।
মেস ভাড়া,খাওয়া খরচ বাদ দিয়ে,
প্রতিমাসে মাকে টাকা পাঠায় সে।
যা বাংলাদেশের হাজারো কিশোর শ্রমিকের জীবনের গল্প,
হ্যাঁ গল্পই বটে।
যে ছেলেটির সকালে বইখাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা,
রাতে আলোর নিচে স্কুলের পড়া তৈরি করার কথা,সে দিব্যি গলায় চানাচুর তৈরির সামগ্রী নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, মহানগরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠের আঙ্গিনায়।
আজ এই বর্ষণমুখর দিনের শুরুতে ওর কথা মনে এলো।
জানি না,বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দীর্ঘ বন্ধ সময়ে সে কেমন আছে? কোথায় আছে?
তার পরিবারের ভরণপোষণের যে গুরুদায়িত্ব সে কাঁধে নিয়েছিল সময়ের অনেক আগেই, বর্তমান প্রতিকূল অবস্থায় তা কেমন করে পালন করছে!
এমন আবহাওয়ায় অনেকের রান্নাঘরে খিচুড়ির গন্ধটা বেশ ম-ম করবে। সাথে খাবার টেবিল আলোকিত করে অনেক কিছুই থাকবে।
এমন দিনে তারে বলা যায়…
ভেবে কারও কারও মনে গুনগুনিয়ে উঠবে তার না বলা প্রেমের নিবেদন।
বর্ষা মানে প্রেম,বর্ষা মানে গান,বর্ষা মানে খিচুড়ি,বর্ষা মানে কাঁথা মুড়ি দিয়ে স্বপ্নের অলীক সাগরে সাঁতার কাটা।
কিন্তু সেই কিশোর যার নাম ভুলে গেছি!
সে কী করছে!
ঘরের দাওয়ায় বসে বৃষ্টির জলে, কাগজের নৌকা নিশ্চয় ভাসায় না!
সেই ছেলেটি
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কবি ও লেখক
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন