পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, ’কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গন রোধে সাড়ে সাতশ’কোটি টাকার প্রকল্প সমীক্ষার কাজ শেষ করে অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে নেদারল্যান্ডস’র আদলে কুয়াকাটা সৈকত একটি আন্তর্জাতিক মানের সৈকত হিসেবে গড়ে উঠবে।’
তিনি জানানঃ ‘এ প্রকল্পে সৈকত রক্ষার বাঁধ হবে সিজ অব গ্রোয়েন, স্যান্ড বীচ নরেশমেন্ট এবং মাল্টি ফাংশনাল এমব্যাংকমেনট। আগামী ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’
সোমবার বিকেল অনুমান ৪টার দিকে ঘূর্নিঝড় ’ইয়াস’ ক্ষতিগ্রস্ত লন্ডভন্ড কুয়াকাটা সৈকত পরিদর্শনে এসে গনমাধ্যমকে তিঁনি এ সব কথা বলেন।
এসময় তিঁনি আরও বলেন, ’ইয়াস-এ ক্ষতিগ্রস্ত জরুরী বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলবে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে দুর্যোগপ্রবন এলাকার বেড়িবাঁধ গুলো টেকসই করে নির্মান করা হবে।
তিনি জানানঃ কোষ্টাল এমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকপ্ল্পের অধীনে কলাপাড়ায় ১০টি পোল্ডারের বেড়িবাঁধ নির্মান কাজ শেষের পথে রয়েছে। আরও ১৭টি বেড়িবাঁধ
টেকসই করে নির্মান করা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৩৯টি পোল্ডারে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান করা হবে।’
কুয়াকাটা সৈকত পরিদর্শন শেষে সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার মহিপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত নিজামপুর বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন।
এসব পরিদর্শনের সময় তাঁর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড’র প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজিবুর রহমান,পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী, ইউএনও আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল, পাউবো’র কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী, কুয়াকাটার মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সহ পাউবো’র উচ্চদস্থ কর্মকর্তারা।