বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) নিয়ে পালানোর সময় আব্দুর রহিম (৩৫) নামের কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা শহরের টিঅ্যান্ডটি মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
গ্রেফতার আব্দুর রহিম (৩৫) উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উত্তরকুল গ্রামের মকবুল বেপারির ছেলে।
উত্তরকুল গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, স্ত্রী ও সাত বছরের ছেলে সন্তান থাকা সত্ত্বেও বিয়ের কথা গোপন করে আব্দুর রহিম একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রহিম একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। ওই কোচিং সেন্টারে রহিমের কাছে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীও পড়ত। সম্প্রতি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন শিক্ষক রহিম। গত ২৯ মে দুপুরে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হলে রহিম তাকে ফুসলিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যান। এরপর থেকে ছাত্রী ও শিক্ষক রহিম নিখোঁজ ছিলেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স ১৪ বছর। তার ভালোমন্দ বিবেচনার বয়স হয়নি। সে সহজ-সরল। তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি লজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। আমি ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তি চাই।’
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, মামলার পর শিক্ষককে আটক ও নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে বাইশারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোপন সূত্রে জানতে পারি, ওই ছাত্রীকে নিয়ে গত দুইদিন এলাকায় একাধিক স্বজনের বাড়িতে পালিয়ে ছিলেন শিক্ষক রহিম। দুপুরে মামলার খবর পেয়ে শিক্ষক রহিম ছাত্রীকে নিয়ে বরিশাল পালানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা শহরের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে বরিশালগামী বাস ও বিভিন্ন যানবাহনে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। বিকেল ৫টার দিকে বরিশালগামী মাহিন্দ্রায় (থ্রি হুইলার) তল্লাশি চালিয়ে রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ
সেই লেভেলের দায়িত্ত জ্ঞানহীন লুচু