৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ ছেলেমেয়ে, ৩৩ নাতি-নাতনি!
বিশ্বের সব চেয়ে বড় পরিবার রয়েছে এই ভারতেই

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
3 মিনিটে পড়ুন

বিশ্বে এত জন স্ত্রী আর কারও নেই। এক বছরে ১০টি বিয়ে করে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। প্রত্যেক স্ত্রী এখনও তাঁর সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকেন।

মিজোরামের এক অত্যন্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিওনা। জিওনা চানা। ১৯৪৫ সালে যখন তাঁর বয়স মাত্র ১৭ বছর, তখন প্রথমবার বিয়ে করেন তিনি। তার পর একের পর এক বিয়ে করতে করতে এখন পর্যন্ত তাঁর বউয়ের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মোট ৩৯-এ।

Screenshot 20210531 075908 2 ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ ছেলেমেয়ে, ৩৩ নাতি-নাতনি! <br>বিশ্বের সব চেয়ে বড় পরিবার রয়েছে এই ভারতেই
৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ ছেলেমেয়ে, ৩৩ নাতি-নাতনি!
বিশ্বের সব চেয়ে বড় পরিবার রয়েছে এই ভারতেই 37

জিওনার বাড়িটিও তাঁর সংসারের মতোই বিশাল বড়। তাঁর বাড়িতে ১০০টি ঘর আছে। সেখানে তিনি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গেই থাকেন। তাঁর ঘরের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীদের ঘর। কাকে আগে বিয়ে করেছেন সেই অনুযায়ী তাঁরা থাকেন। অর্থাৎ যাঁকে শেষে বিয়ে করেছেন তিনি থাকেন সব থেকে কাছে। আবার যাঁকে প্রথমে বিয়ে করেছেন, তিনি থাকেন সব থেকে দূরে। তবে জিওনার ঘরে যখন তখন যে কোনও বউয়েরই ঢোকার অনুমতি আছে।

জিওনার বাড়িতে তাঁর সব ছেলেরাই নিজেদের স্ত্রী নিয়ে থাকেন। তাঁর পরিবারে সবার আলাদা আলাদা ঘর থাকলেও রান্নাঘর কিন্তু একটাই। মানে, ওই পরিবারের সবার রান্না হয় একসঙ্গেই।

- বিজ্ঞাপন -
Screenshot 20210531 080116 2 ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ ছেলেমেয়ে, ৩৩ নাতি-নাতনি! <br>বিশ্বের সব চেয়ে বড় পরিবার রয়েছে এই ভারতেই
৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ ছেলেমেয়ে, ৩৩ নাতি-নাতনি!
বিশ্বের সব চেয়ে বড় পরিবার রয়েছে এই ভারতেই 38

খাবার জন্য তাঁদের প্রতিদিন ১০০ কিলো চাল আর ৭০ কিলোরও বেশি আলু লাগে। আর মাংস হলে তো কথাই নেই। মোটামুটি ৬০ কিলো আলু আর ৪০টির মতো মুরগি রান্না হয়।

জিওনার ছেলেরা কেউ চাকরি-বাকরি করেন না। হয় নিজেদের জমিতে চাষের কাজ, আর তা না হলে পশু পালন করেন।

গত ১৩ মার্চ লন্ডন ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জানা যায়, পৃথিবীর সব থেকে বড় পরিবারের প্রধান হলেন জিওনা চানা । তার ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন ছেলেমেয়ে, ১৪ জন পুত্রবধূ এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি রয়েছে।

পৃথিবীর সব থেকে বড় পরিবারের প্রধান হয়েও জিওনা এখানে থামতে চান না। এই খেতাবে তিনি বেশ গর্বিত। তাই তিনি তাঁর পরিবারটিকে আরও বাড়াতে চান।

Screenshot 20210531 075934 2 ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ ছেলেমেয়ে, ৩৩ নাতি-নাতনি! <br>বিশ্বের সব চেয়ে বড় পরিবার রয়েছে এই ভারতেই
৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ ছেলেমেয়ে, ৩৩ নাতি-নাতনি!
বিশ্বের সব চেয়ে বড় পরিবার রয়েছে এই ভারতেই 39

পড়াশোনার জন্য পরিবারের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যাতে বেশি দূরে যেতে না হয়, সে জন্য বাড়ির একদম পাশেই তিনি একটি স্কুল বানিয়েছেন। সেখানে তাঁর ছেলেমেয়ে এবং নাতি-নাতনিরা পড়াশোনা করছে।

- বিজ্ঞাপন -

এই মুহূর্তে উদ্যোগ নিয়েছেন একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার। তাঁর ইচ্ছে, তাঁর বাড়ির লোকেদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং রোজগারের জন্য যেন অন্য কোথাও যেতে না হয়।

আকারে অত্যন্ত ছোট হলেও তিনি মনে করেন, এই সাম্রাজ্যের তিনিই সম্রাট। তাঁর কথাই শেষ কথা।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
১ টি মন্তব্য

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!