জনগনের রেকর্ডীয় সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে অবৈধভাবে খালের খনন রোধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২৯ মে) বেলা ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ডিংঙ্গামানিক ও রাজারচরের ভুক্তভুগি বাসিন্দারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগি পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা যারা ভুক্তভুগি পরিবার তারা সবাই ডিংঙ্গামানিক ও রাজারচর মৌজার বাসিন্দা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল এর অধিনে ডিংঙ্গামানিক থেকে রাজারচর পর্যন্ত ০-৪.৭০০ কিঃমিঃ খাল পূণঃখনন প্রকল্পের কাজ চলছে ।
কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন খালটি সি.এস, এস.এ, বি.এস নকশা অনুযায়ী যতটুকু রয়েছে তার সঠিক পরিমাপ না করে পার্শবর্তী ভোগদখলীয় জমিতে সিমানা নির্ধারন করে লাল নিশানা দিয়েছে।
এতে ২৬ ফুটের প্রশস্ত খালটি প্রায় ৫৫ফুট করে কাটা ও খননের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তারা।পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কর্তৃক নিয়োগকৃত ঠিকাদার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তাগন খাল এর প্রসস্থতা নির্ধারন করতে গিয়ে জনগনের এস .এ এবং বি.এস রেকর্ডীয় সম্পত্তির বুঝিয়ে না দিয়ে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে খালের সিমানা নির্ধারন করে বিশাল ভেকু দিয়ে খাল খননের জন্য সরজমিনে নিশান স্থাপন করেছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণ জনগন পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অফিসে গত সোমবার ২৪ মে গেলে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে, এই বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে চায়নি এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আচরণ আমাদের আহত করেছে।
এছাড়া একই দিনে বরিশালের জেলা প্রশাসক এর বরাবর উক্ত ষড়যন্ত্রমূলক কাজের স্থগিত চেয়ে আবেদন করে তার সাথে দেখা করলে তিনি বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে যাচাই-বাছাই করে কাজ বন্ধের আদেশ দেন।
এদিকে এ অব্দি নদী থেকে খালের সংযোগ স্থলে যতটুক কাটা হয়েছে তাতেই পানির প্রবল স্রোতে দুটো গ্রামকে প্লাবিত করে দিচ্ছে।
এতে পানের বরজ, বসতভিটা, পুকুরের মাছ, রবিশষ্য এবং বাগান ইত্যাদির ক্ষতিসাধনও হয়েছে। যা আইন ইকুইটি ও ন্যায়পরায়নতা অনুসারে অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন এবং এই ক্ষতির আওতায় রয়েছে প্রায় আনুমানিক ১২ শত পরিবার।
এখন যদি তারা ৪.৭০০ কিঃমিঃ খাল ষড়যন্ত্রমূলক একই ভাবে কাটে, তাহলে ওখানে স্রোতে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বারেক মিয়ার খালের মতো নদী হয়ে যাবে। আর তা হবে প্রবাদ বাক্যের মতো সত্য অর্থাৎ “খাল কেটে কুমির আনা” মতো ঘটনা।
এসময় মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমাদের শত শত বছরের পুরাতন গ্রাম এবং গ্রামীন ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য যে নীল নকশা কারা হয়েছে তা দেখে আমরা সত্যিই আহত এবং হতবাক।
যে ব্যাক্তির ৫ শতাংশ জমি আছে, যাতে ঘর করে বসবাস করছে, তা যদি খালে চলে যায়, তাহলে সে মানুষ পরিবার নিয়ে কোথায় যাবে? বেচেঁ থাকা তার শেষ অবলম্বনটুকু হারিয়ে সে সর্বস্ব হয়ে যাবে। আমরা এই উদ্ভুত পরিস্থিতির অবসান চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিংঙ্গামানিক ও রাজারচরের ভুক্তভুগি প্রায় অর্ধশত পরিবারে সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ এর মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
গুগল নিউজ
