একটি আদালত সম্প্রতি দুই অপরাধীকে ১৪৪৬ বছর করে শাস্তি ঘোষণা করেছে। কিন্তু কোন অপরাধে? বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁরা অন লাইনের মাধ্যমে তৈরি করা খাবার বিক্রি করছিলেন।
না, তাঁদের খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হননি। পঁচা মাংস দেওয়ারও অভিযোগ ওঠেনি তাঁদের বিরুদ্ধে। পরিমাণেও এতটুকু কম দিতেন না তাঁরা। বরং তাঁদের খাবার এতটাই সুস্বাদু ছিল যে, দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যেত। তাই ভিড় সামাল দেওয়ার জন্যই তাঁরা অনলাইনের পথ বেছে নেন।
তবু তাঁদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জমা পড়তে লাগল। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই রেস্তোরাঁর দুই মালিককে প্রায় দেড় হাজার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে থাইল্যান্ডের একটি আদালত। সাজা পাওয়া ওই দু’জন ছিলেন লেইমগেইট সি-ফুড অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক।
তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গ্রাহকদের কাছ থেকে আগাম অর্থ নিয়েও খাবার তো সরবরাহ করেনইনি, উল্টে তাঁদের অর্থ ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন।
অন্তত ২০ হাজার ক্রেতার কাছ থেকে প্রায় ৫০ মিলিয়ন বাথের (থাইল্যান্ডের মুদ্রা) খাবারের অর্ডার নিয়েছিলেন তাঁরা।
কিন্তু খাবার সরবরাহ করার সময় রেস্তোরাঁর ওই দুই মালিক ঘোষণা করেন যে, গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো তাঁদের পক্ষে সক্ষম নয়। যে অর্থ তাঁরা অগ্রিম নিয়েছিলেন, সেটা তাঁদের রেস্তোরাঁর ধারবাকি এবং কর্মচারীদের পাওনা মেটাতেই শেষ হয়ে গেছে।
শেষে এক সময় ক্রেতাদের অর্থ ফেরত না দিয়েই ওই রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেন। এই ঘটনার পরে রেস্তোরাঁটির মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কয়েকশো লোক। তখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রেস্তোরাঁর ওই দুই মালিককে গ্রেফতার করে।
এর পরে জনগণের চাপে দু’দিনের মধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শুনানি শুরু হয়। এবং কেস-হিস্ট্রি শুনে বিচারক মশাই মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ওই দুই রেস্তোরাঁ মালিকের প্রত্যেককে ১৪৪৬ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
প্রতারণার অভিযোগে থাইল্যান্ডে এ রকম অকল্পনীয় সাজা দেওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এ রকম অদ্ভুত অদ্ভুত কারাদণ্ডের বিধান আকছার ঘটে। ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডের এক আদালত একজনকে ১৩ হাজার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
যদিও দেশটির আইনে কিন্তু প্রতারণার অভিযোগে এই রকম অনন্ত বছরের সাজা দেওয়ার কোনও বিধান নেই। সেখানে বলা আছে, খুব বেশি হলে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। তবুও…