গাজীপুরে কিশোরী কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মা’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে থানায় নিহতের পিতা মামলা করেছেন।
নিহতেরনাম উম্মে হুমায়রা বিজলী (১৬) বরিশালের মুলাদী থানার বাহাদুরপুর এলাকার মো. বজলুর রহমানের মেয়ে। সে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বাসন থানার পুলিশ গ্রেফতারকৃত হেলেনা বেগমকে গতকাল শুক্রবার গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন নাহারের আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বাসন থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, গাজীপুর শহরের বাসন থানার চান্দনা গ্রামের বুড়িরমোড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থেকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন বজলুর রহমান। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে গত ২১ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজলীকে শাসন করছিলেন তার মা (বজলুর রহমানের স্ত্রী) হেলেনা বেগম। একপর্যায়ে মেয়ে বিজলীর গায়ে কোরোসিন ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন হেলেনা। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান। আগুনে দগ্ধ বিজলীকে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ দিন পর বুধবার দুপুরে বিজলী মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা হেলেনার বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী বজলুর রহমান বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন।