বরিশাল বিভাগের ভোলায় নদীর তীব স্রোাতে ভেসে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির নাম – লামিয়া, ৭ পিতার নাম লোকমান হোসেন, বাড়ী চরজইনউদ্দিন, হাজর হাট, মনপুরা উপজেলা বলে নিশ্চিত করেছেন মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা।
ঐ শিশুর পিতাকে উদ্বৃত করে বলেন সকাল ১১ টা থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না, পাশেই ছিল মেঘনা নদী। পরে দুপুর ১ টায় ঐ শিশুর মৃত লাশ খুঁজে পায় স্বজনেরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও জানান মনপুরা উপজেলার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন রাস্তার সাথেই মেঘনার পানি চলে এসছে, রাস্তায়ও ফাটল দেখা দিয়েছে ইতোমধ্যে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে যাতে করে রাস্তাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে না যায়। এ ছাড়া সোনারচর এলাকার বেড়িবাঁধেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
উপজেলা এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত আগামীকালই ‘ইভাকুয়েশন শুরু হবে।’
এদিকে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর তুলাতুলি পয়েন্টে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনাঘটে। মাছধরা এই ট্রলারে ৯ জন মাঝি মাল্লা থাকলেও তারা তীরে আসতে সক্ষম হয়েছে বলে নিশ্চিত ভোলার জেলার প্রশাসক মো. তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী ।
এদিকে বরিশাল বিভাগের সর্বত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, বরিশাল নগরীর পলাশপুর , সাগরদী এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ৪/৫ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়েছে। স্থানীয়রা জানায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলেও ভাটায় পানি নেমে ডাবে।
বরিশাল ছাড়াও ভোলার বিভিন্ন চরে, পটুয়াখালী ও বরগুনার নিম্নাঞ্চল পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।