পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বরগুনা ও পাথরঘাটায় বিশখালীসহ পটুয়াখালীর পায়রা, পিরোজপুরের কচা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বরগুনাতে বিষখালী নদীর পানি ডেঞ্জার লেভেলের ৩৫ সেন্টিমিটার, বেতাগীতে ৮ সেন্টিমিটার ও পাথরঘাটাতে ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কচা নদীর পিরোজপুরের উমেদপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার, মির্জাগঞ্জে বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী সহ আশপাশ এলাকার সকল নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। বরিশাল নগরসহ বেশি কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।
ঘুর্নিঝড় “ইয়াস” মোকাবেলায় বরিশালে প্রস্তুতি গ্রহন করেছে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচী সিপিপি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা ১১টায় নগরের কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মিটিং করেছেন সিপিপি’র বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাহাবুদ্দিন মিয়া।
তিনি জানান, বরিশাল অঞ্চলে ৩৩ হাজার ৪’শত সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিগন্যাল ৪ হলে তারা পতাকা উত্তোলন ও মাইকিং করবে জনগণকে নিরাপদে যাবার জন্য।
উপ-পরিচালক আরও জানান,ইতোমধ্যে ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েকফিট ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।