আমরা নই, সতর্ক থাকা উচিত যাত্রীদের। যাত্রীরা যদি সচেতন না হন, তাহলে আমরা কতক্ষণ তাদের বাধ্য করতে পারবো? পুলিশ বিডিআর যখন পারে নাই। যদি পারতো তাহলে কি ফেরীতে ওভাবে মারা পরতো কেউ?
একটানা কথাগুলো বললেন পারাবত ১০ এর সুপারভাইজার মোকলেছুর রহমান।
২৪ মে সন্ধ্যার পর লঞ্চে যাত্রী তোলার ফাঁকে তার সাথে কথা হচ্ছিল অর্ধেক যাত্রী পরিবহন ও মাষ্ক ব্যবহার নিয়ে।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকা গামী ৫টি বিলাসবহুল লঞ্চ পারাবত ১০, সুন্দরবন ১০, সুরভী ৯, কীর্তনখোলা ১০ মানামী গতরাতে ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। তাই যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা ছিল সবগুলো লঞ্চে।
স্বাভাবিক দিনের তুলনায় যাত্রী অনেক কম। একেতো ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আতঙ্ক তারউপর দিগুণ ভাড়া গোনা কি সকলের পক্ষে সম্ভব?
মাথাপিছু ৪০০/- টাকা ভাড়ায় যাত্রী কমে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না বলে জানালেন মোকলেছুর। শুক্র, শনি ও রবিবার না হলে যাত্রী ভিড় সেভাবে হয়ওনা বলে জানালেন পাশেই দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল ফারুক। তাকে দেখে অনেক যাত্রী খুলে রাখা মাষ্ক দ্রুত পড়ে নেয়। এখানের এই বরিশাল অঞ্চলের মানুষের কাছে মাস্ক পড়াটা যেন মহাশাস্তি।
গত ২৩ মে রবিবার বাস লঞ্চ সহ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি পাওয়া মাত্রই বরিশালের নতুুল্লাবাদ, রুপাতলী ও বরিশালের নৌ টার্মিনালের চিত্র হয়েছিল উৎসব মুখর। ২৪ মে সকাল থেকেই ধোয়ামোছার কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে শ্রমিকদের। দীর্ঘ বিরতীর পর কাজে যোগদানের আনন্দ সকলের চোখে মুখে।
নতুনল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে কঠিন নিয়ম মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস ছেড়ে যেতে।
শাকুরা, হানিফ ও হাওলাদার এবং চাকলাদার কাউন্টারে কথা বলে জানা যায় মাথাপিছু ঢাকার ভাড়া এখন ৮০০/- টাকা। মাস্ক ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় বাস চালকদের রয়েছে সতর্ক অবস্থান। তবে এখানেও যাত্রীদের মাষ্ক ব্যবহারে খুব অনীহা দেখা যায়। সিটে বসেই মাস্ক খুলে যেন নিজেকে বাঁচালেন তিনি।