ভাড়া দ্বিগুন, মানা হয়নি কোন স্বাস্থ্যবিধি, এভাবেই বরিশাল থেকে ঢাকা সহ বিভিন্ন গন্তব্যে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ভোলা , মেহেন্দীগঞ্জ সহ বিভিন্ন রুটে ১৬ টি ছোট আকারের লঞ্চ গন্তব্যে রওনা দিয়েছে। বিকেলে নদীবন্দর থেকে আরো অন্তত ৫/৬ টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল নদীবন্দর ত্যাগ করেছে। এসব লঞ্চে ডেকের যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দুরত্বের কোন বালাই ছিলনা বললেই চলে, ছিল না লঞ্চ কতৃপক্ষের কোন সচেতনাতামূলক প্রচারনা। আর এভাবেই ঢাকার উদ্যেশ্যে বরিশাল নদীবন্দর ত্যাগ করেছে অন্তত ১০ হাজার যাত্রী।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে পূর্বে লঞ্চের ডেকের ভাড়া ২০০ টাকা হলেও বর্মানে নেয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। সে হিসেবে যাত্রী অর্ধক নিয়ে গণ পরিবহন ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়া হচ্ছে পূর্ণ যাত্রী নিয়েই।
বরিশাল থেকে ঢাকায় লঞ্চে রওনা দিয়েছে গার্মেন্টস এ কাজ করে এক পরিবার। তারা জানায় দেরীতে হলেও তারা ঢাকায় যাচ্ছে, লঞ্চ না চলাচল করলে ঢাকায় আরো কয়েকদিন পরে যেতে হতো।
রবীন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তারা নৌপথেই মূলত মালামাল পরিবহন করে থাকেন। লঞ্চ চলাচল না করায় তারা অনলাইনের মাধমে কোন রকমমে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিলেন।
সুন্দরবন লঞ্চের সুপারভাইজার জাকির হোসেন জানান, যাত্রীদের দেরকে আমরা মাস্ক পরে লঞ্চে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করেছি। তবে হাত ধোয়ার জন্য আমাদের টয়লেট, বাথরুম যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। তিনি জানান ডেকের ২০০ টাকার টিকিট এখন ৪০০ টাকা।
নদীবন্দরের ইজারাদারের স্টাফ হানিফ জানান, অন্যদিনের তুলনায় যাত্রী কিছুটা কম। তা নাহলে আরো মানুষের ভীড় হতো নদীবন্দরে।
বরিশাল সুন্দরবনবন লঞ্চের স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, একটি লঞ্চের যে জায়গা রয়েছে তাতে এই যাত্রী সামন্যই। তারপরেও আমরা মাস্ক পড়া ও হাত ধোয়ার কথা প্রচার করছি।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী পরিবহন ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনের জন্য লঞ্চ কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ পালন করছে না-এমন অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।