ওসমানীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নানা কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সিলেট ২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। রবিবার (২৩ মে) সকালে ওসমানীনগরের গরীব-অসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে ইউএন’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উক্ত অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘উনি (ইউএনও) আসার পর ওসমানীনগরে সিন্ডিকেটের জন্ম দিয়েছেন। যে অফিসে এখন আমি রয়েছি – সেই অফিস কর্তা যদি সিন্ডিকেট বা দুর্নীতিতে জড়িত থাকেন তবে এটা দুঃখজনক। এই সিন্ডিকেটের কথা আমি জাতীয় সংসদে নাম ধরে ধরে উত্থাপন করবো। যারা দুর্নীতির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তারা কিভাবে আমার উপজেলায় কাজ করে আমি সংসদে তা জানতে চাইবো।’
সংসদ সদস্য বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে ইউএনওকে আশা করেছিলাম। উনার কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানার ছিল। কিন্তু উনি পালিয়ে গেছেন! কিছুদিন আগে এই ইউএনও’র দুর্নীতির বিষয়ে আমি বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করেছিলাম। উনাকে ওসমানীনগর থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিলাম। বিভাগীয় কমিশনার ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আমি দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করতে পারি না। যদি আমার মেয়েও এখানে বসে দুর্নীতি করতো তবে আমি তাকে অফিস থেকে বের করে দিতাম। অবিলম্বে ওসমানীনগর-বিশ্বনাথে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলি করা না হলে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের ঘাড়ে ধরে অফিস খালি করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিলন রায়ের সঞ্চালনায় টিন ও টাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. গিয়াস মিয়া, দয়ামীর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন নুনু ও প্রবাসী নেতা গোলাম কিবরিয়া।
অনুষ্ঠানে সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ওসমানীনগরের ২৩টি গরিব অসহায় পরিবারের মধ্যে ৪০ বান্ডেল ঢেউটিন এবং নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।
এমপি মোকাব্বিরের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা বেগম বলেন, ‘আমি মাসিক রাজস্ব মিটিংয়ে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। এমপি মহোদয় কেন এমনভাবে বললেন বুঝতে পারছি না। ঢালাও ভাবে না বলে তিনি যদি অনিয়মের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ করতেন সেটা বোধকরি ভালো হতো।