বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে ইতিহাস বিভাগের প্রধান মো. কাইয়ুমউদ্দিন যোগদান করতে গেলে উপাধ্যক্ষর কার্যালয় , প্রধানগেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদের একাংশ। বিক্ষোভ মিছিল ও তালা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের গেট আটকিয়ে রাখার কারনে শেষ পর্যন্ত তিনি যোগদান করতে পারেন নি।
আন্দোলতরত ছাত্রদের পক্ষে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণীর ছাত্র মো. শাওন খান জানান আমরা এমন শিক্ষককে চাইনা যিনি ইতোপূর্বে শংকর স্যারকে লাঞ্ছনার সাথে জড়িত ছিলেন, যার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। আমরা সকল বিভাগের ছাত্ররাই এই প্রতিবাদ করছি। আমরা উপাধ্যক্ষর কক্ষ তালা মেরে নীচে অবস্থান করেছি, বিক্ষোভ মিছিল বের করেছি।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আল আমিন সরোয়ার জানান সাধারণ ছাত্ররাই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এন বিক্ষোভ মিছিল বের করছে। আমাদের এখানে কোন বক্তব্য নেই।
ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া জানান ছাত্ররা গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে। এখন পর্যন্ত উপাধ্যক্ষ পদে কাইয়ুম উদ্দিন যোগদান করেন নি।
ব্রজমোহন কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কাইয়ুম উদ্দিন জানান গত বৃহসপতিবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্রীকান্ত চন্দ স্বাক্ষরিত চিঠিতে রবিবারের মধ্যে কলেজে যোগদানের কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে আজকে কলেজে যোগদানের জন্য প্রস্ততি নিলেও ছাত্রদের বিক্ষোভের কারনে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কারা বিক্ষোভ করছে, তাদের দাবীই কি আমার পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।
তবে কলেজ বন্ধ এই ছাত্ররা কিভাবে আসল এটাই আমার প্রশ্ন।
আমি ২৫ বছর এই কলেজে শিক্ষকতা করেছি, উপাধ্যক্ষ পদে যোগ দান করা কি আমার অপরাধ?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিমের অধিকাংশ অনুসারীকে বিক্ষোভে দেখা যায়। তবে আতিকুল্লাহ মুণিম এই বিষয়ে জানান এই স্যারের কারনে শংকর স্যার যোগদান করতে পারেনি, তা ছাড়া তার দুর্নীতির কারনে সাধারণ ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখায় ও উপাধ্যক্ষ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।