বরিশালের গৌরনদীতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে এক কলেজ ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় প্রেমিকসহ ৪ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার নলচিড়া গ্রামের নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা আদম আলী বেপারী বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম বেজহার গ্রামের প্রেমিক রাব্বি শিকদার, তার ছোট ভাই বাপ্পি শিকদার, প্রেমিকের বাবা মোস্তফা শিকদার ও মা তাছলিমা বেগম।
মামলার এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর পূর্বে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে উপজেলার পশ্চিম বেজহার গ্রামের মোস্তফা শিকদারের পুত্র রাব্বি শিকদারের সঙ্গে একই উপজেলার নলচিড়া গ্রামের আদম আলী বেপারীর কন্যা ও হোসনাবাদ নিজামউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের স্মাতক শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আক্তারের (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এক বছর আগে কলেজ ছাত্রী ফারজানার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রেমিক রাব্বির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয় এবং ফারজানাকে বিরক্ত না করতে বলা হয়। এরপরও কলেজ ছাত্রী ফারজানার সাথে প্রেমের সম্পর্ক অব্যাহত রাখে প্রেমিক রাব্বি।
গত বুধবার (১৯ মে) বিকাল ৩টার দিকে কলেজ ছাত্রী ফারজানা বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাব্বির বাড়িতে অবস্থান নেয়। এসময় প্রেমিক রাব্বি মুঠোফোনে কলেজ ছাত্রী ফারজানার প্রেমকে অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে বিষয়টি প্রেমিক রাব্বির ভাই ও মা-বাবাকে জানানো হলে তারা (প্রেমিক রাব্বির পরিবারের সদস্য) কলেজ ছাত্রী ফারজানাকে গালমন্দ ও মানসিক নির্যাতন করে।
প্রেমিক রাব্বির পরিবারের সদস্যদের মানসিক অত্যাচার ও নির্যাতন সইতে না পেরে প্রেমিকা ফারজানা ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে বসে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফারজানাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন দিবাগত রাত তিনটার দিকে সে (ফারজানা) মারা যায়।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান জানান, গত ২০ মে ফারজানার লাশের ময়নাতদন্ত বরিশাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।
আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।