প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে তাপপ্রবাহ। এদিকে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর কারণে বঙ্গোপসাগরে সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে রোববারের (২৩ মে) মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২২ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। পরবর্তীতে এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
গতকালের মতো আজও সারাদেশের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ একে এম রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ‘সারাদেশেই তাপমাত্রা বেশি। দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে, সেসব জায়গায় তাপমাত্রা কিছুটা কম আছে। সেসব জায়গায়ও হয়তো তাপ বাড়বে। ২৪-২৫ মে’র দিকে দেশের তাপমাত্রা কমা শুরু করতে পারে।’
রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় যখন উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি চলে আসবে, তখন তাপমাত্রা কমবে। মেঘ ছেড়ে দেয়া শুরু করবে।’
ঢাকায় গরমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে। গতকাল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আজকেও গতকালের মতো তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা আছে।’
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও পাবনা জেলাসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃষ্টির বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, আগামী দুই দিনের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। তার পরের পাঁচ দিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।