পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছে মুক্তা বেগম (৩৫) নামে পাঁচ সন্তানের এক জননী।
এ ঘটনা প্রকাশের পর থেকে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মৃধা বাড়ীতে উৎসুক মানুষে ভীড় জমে।
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ বিষয় কোন অভিযোগ পাইনি, আমি এখনই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানান, স্বামীর চট্টগ্রামে চাকুরির সুযোগে প্রতিবেশী দলিলউদ্দিনের ছেলে রুবেল মৃধার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে মুক্তা। রুবেল পটুয়াখালী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী।
রুবেল-মুক্তা ওই ইউনিয়নের আমতলা বাজারের ভাড়া বাসায় একই সাথে বসবাস শুরু করেন। এতে মুক্তা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু রুবেলের অনুরোধে দুই মাসের
ভ্রুন নষ্ট করে দেয় মুক্তা।
এরপর সম্পর্কের সূত্র ধরে বুধবার রুবেল মৃধা’র বাড়ীতে অবস্থা নিয়ে মুক্তা অনশন শুরু করে। এসময় সে রুবেলের পরিবারের কাছে মুক্তা বিয়ের দাবি জানায়।
এসময় রুবেল মৃধার পক্ষ নিয়ে মুক্তা ও তার স্বামী সবিরকে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভয়-ভীতি দেখায়।
পরদিন সকালে রুবেল মৃধার বাড়ীতে গিয়ে মুক্তার স্বামী সবির স্ত্রীকে নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।
এরপর থেকেই মুক্তা নিখোঁজ হয় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এরপর উধাও হয় প্রেমিক রুবেল মৃধাও।
রুবেলের মা রোমেনা বেগম বলেন, ছেলেকে ওই পথ থেকে ফিরে আসতে অনুরোধ করেছি, কিন্তু শোনেনি।
এ প্রসঙ্গে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন-আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে একটি মহল। এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা ।