নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের ঘটনায় সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার সোনারগাঁ থানা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন কারাবন্দী অবস্থায় অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোনারগাঁর রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর ও মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টির মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেল ৩টায় তিনি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান কেরানীগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার সুভাষ উমার ঘোষ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মাহবুবুল আলম জানান, ইকবাল হোসেন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত ছিলেন। গত ১১ই মে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। পরে ডাক্তারদের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইকবাল হোসেনের বড় মেয়ে মাহবুবা জানান, দুপুর ৩টায় বাবা মারা গেছেন। তাকে বিনা অপরাধে ধরে এনে এভাবে মেরে ফেলা হলো। আমাদের সকালে জানানো হয়েছে তিনি খুব অসুস্থ। এখানে এসে আমরা দেখি তিনি ইতোমধ্যে আইসিইউ সাপোর্টে রয়েছেন। তাকে ৩টায় মৃত ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ঙ্গঞ্জের রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নারীসহ অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় জনতা। এরপর রিসোর্টটিতে হামলা, ভাঙচুরসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করেন হেফাজতকর্মীরা।ঐ সময় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম মাওলানা ইকবাল মসজিদের মাইকে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ চারটি মামলায় ইকবাল হোসেনকে আসামি করে। এর মধ্যে দুটি মামলার তাকে প্রধান আসামি করা হয়। গত ১১ই এপ্রিল রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে র্যাব-১১ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে র্যাব।