স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন নিয়ে আগামী রোববার আদেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনার জন্য রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আজ (২০শে মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চ্যুয়ালি জামিনের শুনানির পরে রবিবার এ আদেশ দেওয়ার কথা জানান আদালত।
আদালতের সামনে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে ছিলেন। আদালতের বাইরে অপেক্ষায় আছেন রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম ও স্বজনেরা।
গতকাল (১৯শে মে) অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে করা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে। ডিবির রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক এই তহত্য নিশ্চিত করেছেন এবং তারা শাহবাগ থানা থেকে নথিপত্র বুঝে নেবেন।
এর আগে গত সোমবার পুলিশ রোজিনা ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরেরদিন মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে। পুলিশ রোজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নাকচ করেন। অই একই দিনে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে আদালত রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন।
রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী গনমাধ্যমকে বলেন, রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন বলে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। জামিন চেয়ে তার করা আবেদনের ওপর আজ বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। তিনি বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন নারী, তিনি অসুস্থ, সর্বোপরি তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ। জামিন অযোগ্য অপরাধের উপাদান এজাহারে প্রকাশিত না হওয়ায় রোজিনা ইসলাম জামিন পাওয়ার যোগ্য।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা ইসলাম। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত ৯টার সময় তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঐদিন রাত প্রায় ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় রোজিনার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট দণ্ডবিধিতে বাদী হয়ে মামলা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।