নেতানিয়াহু বলেন, “আমি নিশ্চিত যে আমাদের চারপাশের শত্রুরা দেখবে যে আমাদের আক্রমণ করার কত মূল্য দিতে হয়, আর আমি এটাও নিশ্চিত যে তাঁরা এ থেকে শিক্ষা নেবে।”
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আজ দশম দিনেও ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে তীব্র সঙ্ঘাত চলমান। হামাস গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩,০০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে ইজরায়েলে। অপরদিকে, ইজরায়েল আকাশ এবং ভূমি থেকে বোমা নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।
এ পর্যন্ত ৬৩ শিশু ও ৩৬ নারী সহ ২১৯ জন ফিলিস্তিনি এবং ১২ জন ইজরায়েলি নাগরিক এই সঙ্ঘাতে নিহত হয়েছে।
বাইডেন সহ সকল বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানাচ্ছে কিন্তু ইজরায়েল এবং হামাসের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার ভেটো দেয়ার কারণে সর্বসম্মত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি। আমেরিকা এবং জার্মানি ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি দেশের নিন্দা প্রস্তাবে হাঙ্গেরি সম্মতি দেয়নি।
ইজরায়েলের আক্রমণে গাজার ১৫ কিমি সুড়ঙ্গ পথ ধ্বংস হয়েছে যা মিশরের সঙ্গে গাজার সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে।
ইজরায়েলের লক্ষ্য হামাসের কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ দাইফকে হত্যা করা।
ইজরায়েলের আর একটি লক্ষ্য হচ্ছে হামাসকে ধ্বংস বা পঙ্গু করে দেয়া যাতে নিকট ভবিষ্যতে আর এ ধরণের আক্রমণের সাহস না পায়।
ইজরায়েল আর কতদিন যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বা কবে যুদ্ধ বিরতি করবে তা এখনও বলছে না।
আজ লেবানন থেকেও উত্তর ইজরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করা হয়।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন সহ ৭০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সভায় বলেছেন, গাজা পুনর্দখলের পরিকল্পনা ইজরায়েল এখনও ত্যাগ করেনি।
উল্লেখ্য গত ১০ই মে পূর্ব জেরুজালেমের কয়েকটি মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদের মামলা, আল আকসা মসজিদের দামাস্কাস গেটে ইজরায়েলের ব্যারিকেড দেয়া এবং ডান পন্থী ইহুদি যুবকদের পূর্ব জেরুজালেমের মুসলিম এলাকায় ৬৭ সালের যুদ্ধ বিজয় বার্ষিকীর মিছিল থেকে ফিলিস্তিনি যুবকদের হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত যা খুব দ্রুত যুদ্ধাবস্থায় পরিণত হয়।