পটুয়াখালীতে নৌ-ফেডারেশন শ্রমিকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সাময়িকী

নৌযান চলাচলের দাবীতে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নৌ-ফেডারেশন শ্রমিকরা।

বুধবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী নৌ টার্মিনাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে তারা সমাবেশে মিলিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দেয় নৌযান শ্রমিকরা।
এসময় শ্রমিকরা দ্রুত লঞ্চ চলাচল শুরু করার অনুমতি দাবি করেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে প্রিন্স কামাল লঞ্চ-১ এর মাষ্টার কবির মোল্লা বলেন, লঞ্চ বন্ধ থাকায় এবার ঈদে বেতন-বোনাস দেয়নি লঞ্চ মালিক। বাড়ীতে থেকে স্ত্রী-সন্তান ফোন করে জানায় ঘরে চাল-ডালসহ কোন খাওন নাই। দেশের সব কিছু চলছে। শুধু করোনা অজুহাতে লঞ্চ বন্ধ রয়েছে।

ঢাকাগামী এমভি আসা-যাওয়া লঞ্চ চালক মহাসিন মিয়া বলেন, মালিকরা এক হাজার টাকা দিয়ে শ্রমিকদের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছে। পাঁচ মাস হয়ে গেল বেতন, ভাতা ও হাজিরা সব বন্ধ। সংসারে অভাব-অনাটন লেগেই আছে। মালিকদের কাছে টাকা চাইলে তারা নানা অজুহাত দেখায়। ঘর মালিক টাকা না পেয়ে বউয়ের সাথে খারাপ আচরন করে। ঘরের মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য হুুুুমকিম দেয়।

- বিজ্ঞাপন -

বক্তব্যে তারা আরও বলেন, বাড়ী থেকে ফোন আসলেই বুকের মাঝে ধরপড় করে ওঠে। ফোন ধরার সাথে সাথেই বউ কয় ঘরে কোন খাওন নাই। পোলাপান কান্দে। এ্যাহন কি করমু। ওদিকে লঞ্চ মালিককে ফোন দিলে ফোন ধরেনা। আমরা তো এই রাষ্ট্রের‘ই নাগরিক। আমাগো মৌলিক চাহিদা কে মিটাবে।

এ সমাবেশে আরো বকতব্য রাখেন এম ভি সুন্দর বন-১৪ লঞ্চের মাষ্টার মনির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নৌ শ্রমিক ফেডারেশন এর অফিস সহকারী রিয়াজ উদ্দিন রুবেল ও এমভি আওলাদ-৭ লঞ্চের স্টাফ আব্বাস হাওলাদারসহ একাধিক নৌ শ্রমিক।

সমাবেশ শেষে লঞ্চ কর্মচারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি পেশ করেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!