ভিজিডি কার্ডের মালামাল নিয়ে বিরোধের জেরধরে চাচার হামলায় ভাতিজা নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত রামিন মৃধা (২১) বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের সান্টু মৃধার ছেলে।
বুধবার (১৯ মে) দুপুরে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে মর্গে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে রামিনের মৃত্যু হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্টু হাওলাদার সম্প্রতি মিন্টু মৃধার নামে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ করে কার্ডের মালামাল (চাল) রামিন ও মিন্টুর মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু মিন্টু তার নামে বরাদ্দকৃত কার্ডের মালামাল উত্তোলন করে একাই ভোগ করে আসছিলো।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মিন্টু ও তার ভাতিজা রামিনের মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়।
এ ঘটনার জেরধরে মিন্টু ও তার সহযোগিরা এক সন্তানের জনক রামিন মৃধাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। মুমূর্ষ অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যায় রামিন মৃধাকে প্রথমে গৌরনদী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনরা রামিনকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার পর পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম বুধবার (১৯ মে) সকালে বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে গৌরনদী থানার ওসি (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান বলেন, তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভূক্ত আসামি তোফাজ্জেল মৃধাকে গ্রেফতার করেছে। এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মিন্টু মৃধা ও তার বড় ভাবি রওশনারা প্রতিমাসে ভিজিডি চাল বন্টন করে নিতেন। গতকাল মঙ্গলবার রওশনারার ছেলে রামিন ও রাজিব মৃধা তাদের চাচা মিন্টু মৃধা কাছে ভিজিডি কার্ড ফেরত চান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতান্ডা হয় এবং মারামারির ঘটনা ঘটলে বেশ কয়েকজন আহতও হয়। এসময় রামিন মৃধার মাথায় চাচা মিন্টু মৃধার কাঠের আঘাতে সে গুরুতর আহত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়।