শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষিত আকলিমা আক্তারকে চাকরী দিলেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু।
গত সোমবার (১৭ মে) দুপুরে দুই হাতে ভর দিয়ে দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে পৌর ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়রের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন আকলিমা। মেয়রকে জানালেন তার অসহায় ও বেকার জীবন যাপনের কথা এবং চাইলেন একটি চাকুরী।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও দারিদ্রতা সত্ত্বেও আশেক মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন আকলিমা। হামাগুড়ি দিয়ে পথ মাড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে কলেজে যাতায়াত করতেন তিনি। নিত্যদিনের সকল কাজকর্ম সারতেন হামাগুড়ি দিয়েই। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই বেঁচে আছেন আকলিমা।
আকলিমা মেয়র মহোদয়কে বলেন, ‘আমি আশেক মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি। এরপরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি পরিবারের বোঝা আজীবন কাটাতে চাই না। হামাগুঁড়ি দিয়ে অফিসের সিঁড়ি বেয়ে উঠেও চাকরি করতে পারব। আমাকে একটা চাকরি দিবেন? আমি বাঁচতে চাই। পরিবারের হাল ধরতে চাই।’
তিনি আরও বলে, এতদিন একটা চাকরির জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। অনেক পত্রিকায় আমাকে নিয়ে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তবুও কেউ একটা চাকরী দেয় নি। জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু আমার কথা শুনেই আমাকে চাকরীর ব্যবস্থা করে দিলেন। মেয়র মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
আকলিমার কথা শুনে সাথে সাথেই জামালপুর পৌরসভায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি দেন ও যোগদান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, মানুষের পাশে থেকে আত্মমানবতার সেবায় কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েই মেয়র হয়েছি । প্রতিবন্ধীরা সমাজের একটি অংশ। তাদের অবহেলার কোন সুযোগ নেই। সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করেছে।
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়-সম্পদ। করোনাকালীন এ দূর্যোগ থেকে তাদেরকেও বাঁচাতে হবে। প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহানুভুতিশীল মানসিকতা নিয়ে দেখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান মেয়র।