পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসা ঝর্না,
দুরন্ত গতিতে ধেয়ে চলে অসীমের পথে।
সেই পথের একদিন পরিচয় হয় নদী ও নদ বলে।
নদ কিংবা নদীর ধর্ম বড়োই আপনভোলা,
সে আর মনে রাখে না তার উৎসমুখকে।
অনবরত ধেয়ে চলে সাগরাভিমুখে,
চারপাশের সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে তার এই চলা।
বিরহী পাহাড় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে,
প্রতীক্ষার প্রহর কোনোদিন হয় না শেষ।
এ যেন সেই মাতৃজঠর থেকে ভূমিষ্ঠ শিশু,
যে কেবলই সময়ের হাত ধরে সামনে এগিয়ে যায়।
সময় হয় না আর উৎসে ফিরে দেখার,
গতি শ্লথ হতে হতে
একসময় থেমে যায়।
পেছনে ফেলে আসা পথরেখা,
মিলিয়ে গেছে সময়ের প্রলেপে।
অস্তগামী সূর্যের শেষ রশ্মি মিলিয়ে যেতে যেতে,
ঝর্না,নদী,মানুষ সকলের যাত্রাপথ মিশে যায় অনন্তলোকে।
বিরতিহীন যাত্রা
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কবি ও লেখক
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন