আমি রোজ গোমূত্র পান করি, সেই কারণে করোনার জন্য আর কোনও ওষুধ আমাকে খেতে হয় না। আমার কোনদিনও করোনাও হবে না। সোমবার ভারতে একটি দলীয় সভায় তিনি এ বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির সংসদ সদস্য প্রজ্ঞা ঠাকুর। – খবর জিনিউজ
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল আসন থেকে বিজেপির মনোনিত নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রজ্ঞা ঠাকুর।
বিজেপির এমপি প্রজ্ঞা ঠাকুর আরও বলেন, ‘আমি যদি রোজ দেশি গরুর মূত্র পান করি তাহলে কোভিডে আক্রান্ত ফুসফুসের স্বাস্থ্যও এতে ভাল হয়ে যাবে। আমারও ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটেছিল। অনেক যন্ত্রণায় কাটিয়েছি। সেখান থেকে রক্ষা পেয়েছি গো মূত্র খেয়ে। গোমূত্র হল জীবনদায়ী ওষুধ।’
এর আগে ইন্ডিয়া টুডে টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, গোমূত্রের সঙ্গে গরু থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য উপাদান খেলে ক্যানসার থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, ২০০৬ সালে মহারাষ্ট্রের মালেগাও সিরিজ বোমা হামলায় অভিযুক্ত কট্টরপন্থী এ হিন্দু নারী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
এর আগে বিজেপির এ নেত্রী এক সাক্ষাৎকারে ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, গো-মূত্র খেয়ে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশের ভোপাল আসনের প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, আমি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলাম। গো-মূত্র পান করে আমি সুস্থ হয়ে গিয়েছি। এক্ষেত্রে গরুর গোবর, মূত্র, দুধসহ পাঁচটি জিনিস দিয়ে উৎপাদিত পণ্যও ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ দিয়েছে।
ভারতের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার ওই বক্তব্যগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
তবে ওই বিজেপি এমপির দাবি, ‘এটি পুরোপুরিভাবে বৈজ্ঞানিক, আমিই এর জীবন্ত এক উদাহরণ।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন গরুর পেছনের অংশ থেকে ঘাড় পর্যন্ত মালিশ করলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বিজেপির বিতর্কিত সংসদ সদস্য প্রজ্ঞা ঠাকুরের এসব বক্তব্য নিয়ে ওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।