পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনা তুললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিশ্চুপ। এভাবে কোটি কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি বেদখল হলেও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে পাউবো’র কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও কিছু হলুদ সাংবাদিক।
তারা স্থাপনা নির্মানের সময় অবৈধ দখল বলে হুঙ্কার দিলেও পরবর্তীতে রহস্যজনক ভাবে বোবার ভূমিকায় অবতীর্ন হচ্ছেন।
জানা যায়, মহিপুর মৎস্য বন্দরের প্রবেশ পথে শেখ রাসেল সেতুর পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাউবো’র জায়গা যে যার মতো অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে।
জাকির হোসেনের মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার ও তার পাশে হোসেন সাঈদ পৃথকভাবে দুইটি প্লটে ইট দিয়ে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মানের কাজ করছে। পাউবো’র কোন কাগজ-পত্র না থাকা সত্ত্বেও তারা স্থানীয় পাউবো’র কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও কিছু হলুদ সাংবাদিক ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, পাউবো’র কোন বৈধ কাগজ-পত্র না থাকা স্বত্ত্বেও কিভাবে তারা এধরনের অবৈধ দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা দ্রুত দখলদারিত্বে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের শীর্ষ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, দখল কাজের শুরুতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা ও মহিপুরের ক’জন সাংবাদিককে বিষয়টি অবগত করা হয়। অথচ তারা এখন দেখেও না দেখার ভান করছে।
এ বিষয়ে মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার এর স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন বলেন, পাউবো’র যতটুকু কাগজ-পত্র দরকার তা আমার কাছে রয়েছে। তাছাড়া গতকাল কয়েকজন সাংবাদিক এসেছিলো তাদের সাথে এনিয়ে সমঝোতা হয়ে গেছে।
পাউবো’র জায়গায় ঘর উঠানোর বিষয়ে আরেক দখলদার হোসেন সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তার মতে, মহিপুরের এক বড় সাংবাদিক এবিষয়ে সবকিছু জানেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র কলাপাড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন, ‘আমি গত পাঁচদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। কারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে পাকা ভবন তুলছে, সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমি সদ্য বিষয়টি জানতে পেরেছি। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।