বরিশাল নগরীর জিলা স্কুল সংলগ্ম শহীদ নজরুল ইসলাম সড়কের অভিজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বরিশাল ফ্যাশন হাউজ ও দ্যা কিচেন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের গভীর রাতে তালা ভেঙ্গে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম সহ কুড়ি থেকে পচিঁশ জন সন্ত্রাসী লুটপাট করেছে মর্মে আদালতে অভিযোগ করেছেন বিসিসি সাবেক প্যানেল মেয়র ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব কে,এম শহিদুল্লাহ।
এসময় শাড়ি,কাপড় এবং দ্যা কিচেন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের ফ্রিজ ইলেকট্রনিস সহ ২৭ লক্ষ টাকার মালামাল রাতের আঁধারে গাড়ী ভর্তি নিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার ১৬ মে বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ’র আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করেন বিসিসি ১২ নং ওয়ার্ডের একাধিকবারের কাউন্সিলর ও দুই বারের প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব কে এম শহিদুল্লাহ।
মামলার বিবরনে বাদী কে,এম শহিদুল্লাহ অভিযোগ করেন, গত ১২ই মে বুধবার রাত ১০ থেকে ১২ টার মধ্যে এই দুই ঘন্টায় তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বরিশাল ফ্যাশন হাউজ ও দোতলায় দ্যা কিচেন চাইনিজ রেষ্টেুরেন্টের তালা ভেঙ্গে মালামাল লুটপাট করা হয়।
বর্তমান বৈশ্বিক কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও লকডাউন থাকায় কর্মচারীদের ছুটি দেওয়া হয়।
সেই সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে তৌহিদুল তার বাহিনীকে সাথে করে এ লুটপাট চালায়।
রাতে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুঠপাট চলছে সংবাদ পেয়ে ছুটে আসলে দুর থেকে হামলা ও লুঠপাটকারীরা সশস্ত্র অবস্থা থাকার কারনে নিরাপত্তাহীন মনে করায় ফিরে আসতে হয়।
এ ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সিটি কর্পোরেশনের ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেন।
তিনি আরো মামলায় উল্লেখ্য করেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে সরকারী ছুটি থাকার কারনে আদালতে মামলা করতে বিলম্বিত হয়েছে।
বিজ্ঞ আদালতের বিচারক অভিযোগ গ্রহন করে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়l
এব্যাপারে মহানগর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাদী যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। আমি যদি দলবল নিয়ে লুঠপাটের তাণ্ডব চালিয়ে থাকি তাহলেতো ওই এলাকার মানুষের চোখে পড়ার কথা।
তিনি বলেন শহিদের সাথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ৫ বছরের চুক্তিনামা রয়েছে। সেই চুক্তিনামা শেষ হলে আমি তাকে উকিল নোটিস করেছি।
এছাড়া তার কাছে আমি প্রতিমাসে ৮০ হাজার টাকা করে ১৪ মাসের ভাড়ার টাকা পাওয়া রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুতের বিল বকেয়া পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
তিনি এ টাকা না দেয়ার লক্ষেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।