বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়ুই, ‘কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পড়ে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।’ মানুষকে মানবিকভাবে জাগ্রত করার জন্য কবি রজনীকান্ত সেন এ কবিতাটি রচনা করেছিলেন। তার এই কালজয়ী কবিতাটি এখনো মানুষের মুখে মুখে। কবিতাটি পড়েননি এমন মানুষ হয়ত পাওয়া যাবে না।
কবির স্বাধীনতার সুখ কবিতাটি আজও উদাহরণ হিসেবে মানুষ ব্যবহার করলেও সময়ের বিবর্তনে মানুষের চোখের আড়াল হয়ে গেছে সেই বাবুই পাখি। নাটোর থেকে হারিয়ে গেছে বাবুই পাখি ও তার শৈল্পিক নিদর্শনের বাসা। প্রকৃতির বয়ন শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা বর্তমানে নাটোর জেলার কোথাও নেই !
একটা সময় নাটোর জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িগুলোতে কিংবা পথের পাশের তালগাছের দিকে লক্ষ করলেই চোখে পড়ত বাবুই পাখির বাসা।
অধিক জনসংখ্যার ভারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে হারিয়ে গেছে বাবুই পাখি ও তার শৈল্পিক নিদর্শনের বাসা।নাটোরের গ্রামাঞ্চল থেকে প্রকৃতির অপরুপ কারিগরের নিপুন সৃষ্টি এখন দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছে। এর পেছনের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ফসলি জমিতে বিষ প্রয়োগ ও শিকারীর কবলে পড়ে বাবুই পাখি ও নানা প্রজাতির পাখি আজ নাটোর থেকে হারিয়ে গেছে।
যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মত স্ত্রী বাবুইয়ের অনুপ্রেরণায় বাবুই পাখিরা বাসার কাজ সম্পন্ন করে থাকে। বাবুইয়ের রহস্যময় বাসার মতই তার জীবন। খড়, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধতো। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত।
বাবুই পাখি বাসা তৈরির পর সঙ্গী খুঁজতে যায় অন্য বাসায়। পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সঙ্গী বানানোর জন্য নানা ভাবে ভাব-ভালবাসা নিবেদন করে এরা। বাসা তৈরির কাজ অর্ধেক হলে কাঙ্ক্ষিত স্ত্রী বাবুইকে সে বাসা দেখায়। বাসা পছন্দ হলে কেবল সম্পর্ক গড়ে তারা। স্ত্রী বাবুই পাখির বাসা পছন্দ হলে বাকী কাজ শেষ করতে পুরুষ বাবুই পাখির সময় লাগে চারদিন।
ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পরপরই বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য স্ত্রী বাবুই ক্ষেত থেকে দুধ-ধান সংগ্রহ করে। প্রজনন সময় ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির গায়ে কালো কালো দাগসহ পিঠ হয় তামাটে বর্ণের। নিচের দিকে কোন দাগ থাকে না। ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাঢ় বাদামি। বুকের ওপরের দিকটা হয় ফ্যাকাসে; অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির চাঁদি পিঠের পালকের মতই বাদামি হয়।
বুকের কালো ডোরা ততটা স্পষ্ট নয়।স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরণা পেয়ে পুরুষ বাবুই মনের আনন্দে শিল্পসম্মত ও নিপুণভাবে বিরামহীন কাজ করে বাসা তৈরির কাজ শেষ করে। প্রেমিক বাবুই যত প্রেমই হোক না কেন, প্রেমিকা ডিম দেয়ার সাথে সাথেই প্রেমিক বাবুই আবার খুঁজতে থাকে অন্য সঙ্গী। বাবুই বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। জানা যায় নাটোরে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাসা দেখা যেত। দেশী বাবুই, দাগি বাবুই ও বাংলা বাবুই।
এরা সাধারণত উত্তাল নয় এমন জলাধারের উপরে গাছপালায় বাসা তৈরি করে বসবাস করে। চমৎকার বুনটের ঝুড়ির মতো বাসা তৈরির জন্য পাখিটি সুপরিচিত। ঝুলন্ত বাসার প্রবেশের সুড়ঙ্গ পথ বেশ আঁকাবাঁকা। একাধিক কক্ষবিশিষ্ট বাসা তৈরি করতে পারে বাবুই। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতি খুব সুন্দর। এরা মূলত বীজভোজী পাখি, সে জন্য তাদের ঠোঁটের আকৃতি বীজ ভক্ষণের উপযোগী; চোঙাকার আর গোড়ায় মোটা। বাবুইয়ের আত্ম-দৃঢ়তায় মুগ্ধ হয়ে এসেছে সকলে সেই প্রাচীণ কাল থেকেই।
কবি পলাশ সাহা বলেন, নাটোর জেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন আর আগের মত বাবুই পাখির নিপুণ তৈরি করা দৃষ্টিনন্দন বাসা চোখে পড়ে না। এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগাত এবং স্বাবলম্বী হতে উত্সাহিত করত। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আজ এ পাখিটি আমরা হারিযে ফেলেছি। গাছের ঝুড়ির মতো চমৎ্কার বাসা বুনে বাস করায় এ পাখির পরিচিতি জগত্ জোড়া।
বাবুই পাখির বাসা আজ অনেকটা স্মৃতির অন্তরালে বিলীন হয়ে গেছে। অথচ আজ থেকে প্রায় ১৫/২০ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জে বাবুই পাখি ঐতিহ্যের অংশ ছিল। গ্রামের তালগাছের পাতায় পাতায় বাবুই পাখির বাসা ঝুলে না থাকলে যেন গ্রামের সৌন্দর্যই থাকে না। কিন্তু হালসময়ের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। আজকাল দৃষ্টির আড়ালেই চলে গেছে বাবুই পাখি।
শহরের উত্তরপটুয়া পাড়ার বাসিন্দা কবিরাজ শহিদুল ইসলাম জানান, পুরুষ বাবুই এক মৌসুমে ছয়টি পর্যন্ত বাসা তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ এরা ঘর সংসার করতে পারে ছয় সঙ্গীর সঙ্গে, তাতে স্ত্রী বাবুইয়ের না নেই। স্ত্রী বাবুই ডিমে তা দেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। আর তিন সপ্তাহ পর বাবুই বাচ্চা ছেড়ে উড়ে যায়। ক্ষেতের ধান পাকার সময় হলো বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম। সরকারের কঠোর নীতির কারনে শিকার সম্পূন্ন রুপে অবৈধ ঘোষনার ফলে , এখন অনেকটাই কমেছে পাখি শিকার। তবে বাবুই এখন আর চোখে পড়েনা বলে জানালেন তিনি।
সিংড়া উপজেলার ১২নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের সোয়াইড় গ্রামের মো. অকবর হোসেন ও মোহাম্মদ আলী জানান, বছর ২০/২৫ আগে এই গ্রামে বাবুই পাখির বাসা ও বাবুই পাখি ছিল। তাল, নারকেল ও সুপারি গাছে দেখা যেত বাবুই পাখির নিপুণ কারুকাজে তৈরি দৃষ্টিনন্দন বাসা। তবে এখন আর চোখে পড়ে না। শুধু এই গ্রামেই না ১২নং ইউনিয়নের ভোগা, বসন্তপুর, সুকাস, বিয়াস,বিনগ্রাম সহ ১০ গ্রামে মাইলের পর মাইল হেঁটে গেলেও বাবুই পাখি ও বাবুই পাখির ঝুলন্ত বাসা এখন আর চোখে পড়েনা বলে জানালেন তারা।
বাবুই হারিয়ে গেছে কেন তা কারও জানা না থাকলেও অনুসন্ধানে কেউ কেউ ফিরে গেছেন জীবনের পেছনের স্মৃতিতে। সিংড়া উপজেলার ১০নং চৌগ্রাম ইউনিয়নের নিমাকদমা গ্রামের প্রবীণ সমর সাহা জানান, তালগাছ খ্যাত চৌগ্রাম ইউনিয়নের কোন গ্রমে দেখা মিলেনা বাবুই পাখির বাসা। তিনি অরো জানান, বছর ৩০ আগের কথা মনে পরে, খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে চমৎকার বাসা তৈরি করতো বাবুই পাখিরা। সে বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়ে বাতাসে টিকে থাকত তাদের বাসা। বাবুই পাখি শক্তবুননের এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কঠিনছিল। হঠাৎ আমাদের অযান্তেই যেন হারিয়েগেছে বাবুই পাখি।
এব্যাপারে সিংড়া উপজেলার গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জানান, বাবুই/ বাওই পাখিকে মূলত শিল্পীপাখি বলা হয়। বাবুই একধারে শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি। এরা আকারে ছোট হলেও খুব চতুর ও বুদ্ধিমত্তার সাথে বাসা তৈরি করে। দৃষ্টির আড়ালে চলে যাওয়ার কারণ সর্ম্পকে তিনি জানান ,শিকারীর কবলে পড়ে বাবুই পাখি ও নানা প্রজাতির পাখি আজ বিলুপ্তির পথে।
প্রকৃতির বিরুদ্ধে মানুষের আগ্রাসী কার্যকলাপের বিরূপ প্রভাবেই আজ বাবুই পাখি ও তার বাসা হারিয়ে গেছে। এরা সাধারণত মানুষের কাছাকাছি বসবাস করত, ফলে অনেক অসচেতন মানুষ এদের বাসা ভেঙে ফেলত। এছাড়া ফসলি জমিতে বিষ প্রয়োগ, আবাসন ও খাদ্য সংকটের কারণেই রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেছে বাবুই পাখি। তবে দেশের কিছু কিছু জায়গায় এখনো চোখে পড়ে বাবুই পাখির বাসা। বাবুই পাখি ও তার বাসা নাটোরে ফিরিয়ে আনতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলার বন কর্মকতা মো.মাহাবুবুর রহমান জানান, বাবুই পাখি দলবদ্ধ প্রাণী আর কলোনি করে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। বর্তমানে সরকারী ভাবে পাখির অভয়ারণ্য তৈরী করা হচ্ছে গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তবে সরকারীভাবে বাবুইকে নিয়ে কোন পরিকল্পনা বর্তমানে নেই। তার মতে দেশের কেথাও না কোথাও বাবুই এখনও আছে। সেখান থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায বাবুই পাখিকে নাটোরে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। তাহলেই কেবল আবার বাবুই পাখিদের নাটোরে দেখা যাবে বলে তিনি মনে করেন।
পাখি প্রেমিকরাও বাবুইকে খোঁজেন, চান বাবুই আবার আগের মত করে থাকুক আমাদের চারপাশে। নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশভাগ গ্রামের পাখি প্রেমিক ফজলে রাব্বি জানান, বৈচিত্র্যের দিক থেকে এই পাখির বাসা কেবল দৃষ্টিনন্দনই না, বরং আর্কিটেকচারাল দিক থেকেও নিখুঁত। বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে এর টিকে থাকার বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ার মতো। সবচেয়ে মজার ব্যাপার এরা কেবল বাসা তৈরি করেই থেমে থাকতো না।
রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখতো এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়েও দিত। নলডাঙ্গা উপজেলায় কোন গ্রামে তার জানা মতে কোথাও বাবুই পাখি ও তার বাসা নেই। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করেন বাবুই আবার তার শৈল্পিক নির্দশন নিয়ে ফিরে আসুক আমাদের মাঝে।
নাটোরে দিনে দিনে মানুষ বাড়লেও কমছে পশু-পাখির সংখ্যা। নাটোরের বিভিন্ন গ্রামে এখন মাইলের পর মাইল হেঁটে গেলেও বাবুই পাখির ঝুলন্ত বাসা চোখে পড়ে না। অসচেতনতা, পাখি শিকার এবং আবাসন ব্যবস্থার কারণে, গাছ কেটে ফেলার কারণে, এই নিপুণ বাসা তৈরির কারিগর বাবুই পাখি আজ বিলুপ্ত। এর পেছনের কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে ফসলি জমিতে বিষ প্রয়োগ।
বাবুই পাখি সাধারণত বিভিন্ন ফসলের বীজ, ধান, পোকা, ঘাস, ছোট উদ্ভিদের পাতা, ফুলের মধু, রেণু প্রভৃতি খেয়ে জীবনধারণ করে।
ফসলি জমিতে অতিরিক্ত বিষ প্রয়োগের কারণে বিপণ্ন পাখির তালিকায় উঠে এসেছে বাবুইয়ের নাম। তাই প্রকৃতির সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমাদের সচেতন হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক ঐক্য। পাখি শিকার এবং অকারণে গাছ কেটে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা সচেতন হলে প্রকৃতির কোনো কিছুই আর হারিয়ে যাবে না।
সরজমিনে নাটোর জেলার সকল উপজেলায় খুঁজে দেখা যায় কোথাও একটিও বাবুই পাখি এবং বাবুই পাখির বাসা নেই। এরমধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলার বিন্নাবাড়ি, নারিবাড়ি, পাটপাড়া, ঝাউপাড়া, মোহাম্মদপুর গ্রামের প্রবীনদের কাছে গিয়ে জানা যায় তারা একসময় দেখতেন কিন্তু হঠাৎ করেই হারিয়ে গেছে বাবুই পাখি।
বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা, যোগিপাড়া, বোয়ালিপাড়া, চক তোকিনগর, গালিমপুর, মালঞ্চি এবং লালপুর উপজেলার ইসলামপুর, দাইড়পাড়া, মিল্কিপাড়া সালামপুর, কেশব বাড়িয়া, কামারহাটী, ধুপইল এই গ্রামগুলোতে ঘুরে, গ্রামগুলোর পথে-প্রান্তরে মাঠে-ঘাটে ঘুরেও কোথাও একটিও বাবুই পাখি ও বাবুই পাখির বাসা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও বড়াইগ্রাম উপজেলায় রাথুরিয়া, মহিষভাঙ্গা, শেরকোল, গোয়ালিয়া, মৌখাড়া, মোকিমপুর, ইকোড়ি, কালিকাপুর, জোনাইল, সংগ্রামপুর গ্রামগুলোতে ঘুরে বাবুই পাখির কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
জেলা বনকর্মকর্তা সত্যেন্দ্রনাথ জানান, বর্তমানে বাবুই পাখি হারিয়ে গেছে একথা সত্য। তবে কি কারণে হারিয়ে গেছে সেই কথা তার জানা নেই। আশার কথা জানালেন সরকারি ভাবে বিপুল পরিমাণ তাল গাছ রোপন করা হচ্ছে। যেহুতু বাবুই পাখি তাল গাছে বসবাস করে বেশি। তাই তাল গাছগুলো বড় হলে বাবুই পাখি ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
বাবুইকে চেনাতে বর্তমান প্রজম্মকে উদাহরণ হিসেবে দিতে হয় কবি রজনীকান্তের কবিতা কিংবা ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হয়। এরপর হয়ত পাঠ্য পুস্তক থেকে কবে জানি নিরবে হারিয়ে যাবে প্রকৃতির এই অকৃত্রিম শিল্পী। যা থেকে যাবে তার সৃষ্টির মতোই রহস্যময়। তার আগে কি কোন পদক্ষেপ পারবে এই অভিমানী শিল্পীকে নাটোরে ফিরিয়ে আনতে? কেন হারিয়ে গেল বাবুই! তার সঠিক উত্তর কি আছে কারো কাছে। সেক্ষেত্রে কাজটি কি খুব সহজ হবে?