বরিশালে বিনোদন কেন্দ্র গুলি উপচে পড়ছে ভীড়। দুপুরের পর থেকে কীর্তনখোলা নদীর বাধটিই হয়ে পড়ে নগরের মানুষের প্রধান ঠিকানা। কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীরে লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে ৩০ গোডাউন এলাকা প্রায় ২ কিমি এলাকা জুড়ে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করে। বিকেলে নদী তীরে যাওয়ার অধিকাংশ বন্ধ হয়ে যায়। নদী তীরে ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নেয় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে। অনেকেই আবার বরিশাল নগরী থেকে ১২ কিমি দূরে দূর্গাসাগরে পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে আসে।
কীর্তনখোল তীরে শিশু সন্তান সহ ঘুরতে এসছেন রেবেকা সুলতানা। ঢাকার এক গার্মেন্টেসে স্বামী সহ তিনি কাজ করেন। ঈদে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। তিনি জানালেন, এবার দীর্ঘদিন পরে বাড়িতে এসেছেন। ভেবে ছিলেন নদীর পারে একটু নির্জন সময় কাটাবেন। কিন্তু এসে দেখেন মানুষ আর মানুষ।
নদী তীরে যেতে না পেরে শিশু সন্তান সহ বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এসেছেন শহীদুল ইসলাম শিশির। ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। জানালেন একেবারে ছুটি কম। রবিবারই তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। কিন্তু কোন দূরপাল্লার গাড়ি না থাকায় তাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে।
এদিকে বিনোদন কেন্দ্র গুলিতে আগত সবার মুখে মাস্ক থাকলেও ছিলনা নির্ধারিত দূরত্ব মানার তাগিদ। করোনা নিয়ে ছিল না কোন দুশ্চিন্তা।
থ্রি হুইলার এর ড্রাাইভার আসলাম জানান, গাড়ী না চালালে তারা খাবেন কি? করোনা গরীর মানুষের জন্য নয়।
এবার ঈদগাহতে ঈদের জামাত হয়নি। কিন্তু তারপরেও গা নেই এখানে আসার মানুষদের।