নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিবাদমান আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুপ একই দিনে বসুরহাট বাজারে পৃথক ভাবে ‘ঈদ পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানের আয়োজনকে ঘিরে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা ও আওয়ামী লীগ রোববার বেলা ৩টায় বসুরহাট বাজারে ‘ঈদ পুর্মিলনী’ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, দুই পক্ষই কর্মসূচি সফল করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে আবারও সহিংস উঠতে পারে। দুই গ্রুপের সংঘাতে দুটি হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, একদিকে শনিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আগামীকাল রোববার দুপুর ৩টায় বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে, কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী সরকারি মুজিব কলেজ ও বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাল্টা ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়।
এই দুই পক্ষ একই সময়ে বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠান করতে চায়। তাদের এই অনুষ্ঠান কর্মসূচীর স্থান দুটির দূরত্ব ৫০ গজেরও কম।
কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠান কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ মাসের অধিক সময় ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান বিরোধের কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ দুজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে উভয় পক্ষের বেশ কিছু নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছেন।