শুক্রবার (১৪ই মে) জুমার নামাজের সময় উত্তর কাবুলের একটি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইমামসহ ১২ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শিশুসহ আরও ১৫জন আহত হয়েছে বলে আফগান পুলিশ জানিয়েছে।
আজ জুম্মার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাবুল পুলিশের মুখপাত্র ফেরদৌস ফারামার্জ।
তিনি বলেন, নামাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমাম মুফতি নোমানও ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক পুলিশ তদন্তে ধারণা করা হয়েছে যে ইমামকে লক্ষ্য করা হয়েছিল।
কাবুল প্রদেশের শাকার দারাহ জেলার একটি মসজিদের ভেতরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।কোনো গোষ্ঠী এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে অস্থায়ী শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠে একটি মসজিদের ভিতরে বিস্ফোরণে শুক্রবারের নামাজের সময় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। ঈদুল উল-ফিতরের ছুটিতে মুসুল্লিরা নামাজের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল।
তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্য যুদ্ধবিরতি চলার সময় বেশ কয়েকটি জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এগুলোর মধ্যে মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। গত দুই দশকের লড়াইতে এ ধরনের যুদ্ধবিরতি হয়েছে মাত্র চারবার। তবে দুই পক্ষই সম্মতি জানিয়েছিল যে ঈদ উপলক্ষে তিন দিন তারা যুদ্ধবিরতি পালন করবে।
এ মাসের পয়লা থেকে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে থাকা আড়াইশ বাহিনী প্রত্যাহার শুরু করার পর থেকেই দেশটিতে সহিংসতার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে।