দ্বিতীয় বছরের মত ঈদ উদযাপিত হচ্ছে করোনা মহামারীকালে। মানুষ আতংকিত। অনেকের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, বেশিরভাগ মানুষের আয় কমে গেছে। মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই। তবুও মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ নয় দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য পথে নেমেছে ঝুঁকি নিয়ে।
এরকম ঝুঁকি নিয়ে হট্টগোল করে এই আকালের সময় মাত্রাতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিয়ে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছেছে। এর চেয়ে হয়ত ভাল ছিল যদি সহজ ও নিরাপদভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা থাকত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারও দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেছে – বিশেষ করে ফেরিতে।
আশাকরি যারা সুস্থভাবে গন্তব্যে পৌঁছেছে তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে, নিজে সুস্থ থাকবে অন্যদেরও সুস্থ থাকার সুযোগ তৈরি করে দেবে।
এই ঈদে অনেকেই পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি আর্থিক ও মানসিক বিপর্যস্ততায়।
দেশের সামর্থ্যবান মানুষ এই মহামারীতে দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন যেমনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন ঈদ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে।
ঈদে এবারও ঈদগাহে নামাজ পড়া সরকারী সিদ্ধান্তে নিষেধ ছিল। মসজিদে ঈদের জামাত হয়েছে। তবে অনেকেই বাসাতেই নামাজ পড়েছেন।
কিছু মানুষ একটু খোলা মাঠে বা পার্কে বেড়িয়ে মনটা হালকা করার চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি।
ভারতের মুসলমান ভাই-বোনেরা শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি মহামারীর মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে।
প্যালেস্টাইনের মুসলমান ঈদের মধ্যে ইসরাইলি আক্রমণের শিকার। মানুষ বাড়ি থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার আফগানিস্তানে জুমা মসজিদে নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে।
কামনা করি, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এবং দেশের সবাই ভাল থাকবে।
আমরা নিরীহ মানুষদের হত্যা করাকে তীব্রভাবে নিন্দা করছি।
আশাকরি, ফিলিস্তিন এবং আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সমাজ আর বিশ্ব নেতারা তাঁদের ভূমিকা পালন করবেন।
কায়মনবাক্যে কামনা করি এই মহামারী থেকে মানুষ সত্বর মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে যাবে আর আগামী উৎসবগুলো সবাই আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারবে।
ঈদ মুবারাক