বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদের খতিব মাওলানা শফিকুল ইসলাম আব্দুল গনি ঈদের জামাতে ইমামতি করেন।
বদরপুর দরবার শরীফের পরিচালক মো. নাজমুস সাহাদাত জানান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়াসহ ৭টি রাষ্ট্রে সাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে এবং সেসব রাষ্ট্রে
বুধবার ঈদ-উল-ফিতর পালন করা হচ্ছে।
যেহেতু পৃথিবীর এক প্রান্তে চাঁদ দেখা গেছে সে কারনে আমরাও আজ বুধবার আমরা ঈদ-উল-ফিতর পালন করছি।
বুধবারে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মুসুল্লিরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি এবং মিষ্টিমুখ করেন।
বিগত বছর গুলোতে মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে একদিন আগে ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা পালন করলেও এ বছরই এর ব্যতিক্রম ঘটলো।
এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবেন।
এরা এলাকায় ‘চান টুপি’র লোক হিসেবে পরিচিত এবং মূলত কাদরিয়া-চিশতিয়া তরিকতের অনুসারী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে এই অনুসারীদের ঈদের নামাজের প্রধান জামাত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে। হাফেজ মোহাম্মদ আরিফ এতে ইমামতি করবেন।
এ জামাতে ধানখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া, গিলাতলা, ফুলতলী ও পাঁচজুনিয়া গ্রামের চান টুপির লোকেরা অংশগ্রহণ করবেন।
এ ছাড়া কলাপাড়া পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, উত্তর লালুয়া মাঝিবাড়িসহ বিভিন্ন স্পটে আরও আটটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এদের কেনাকাটাসহ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, গন্ডামারি,মরিচবুনিয়া,চালিতাবুনিয়া, ছইলাবুনিয়া, সেনের হাওলা, পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া, সাফাখালী, চরপাড়া এবং আজিমদ্দিন গ্রামে এ তরিকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারে ১৫ হাজার লোক বসবাস করেন।
উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া দরবার শরীফের পরিচালক নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস জানান, তাঁরা চট্রগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের পশ্চিম এলাহাবাদ গ্রামের সিলসিলায়ে আলীয়া কাদরিয়া চিশতিয়া জাহাগিরিয়িা তরিকতের অনুসারী। যার কারণে তাঁরা একদিন আগে রোজা রাখা শুরু করেন এবং ঈদও একদিন আগে উদযাপন করে থাকেন