নারায়ণগঞ্জের দুইটি থানায় ধর্ষণ ও সহিংসতার অভিযোগে দায়ের হওয়া পাঁচ মামলায় কারাগারে থাকা মামুনুল হকের ১৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন মামুনুল হক। বুধবার (১২ মে) দুপুরে ভার্চুয়াল আদালতে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় ভার্চুয়াল আদালতে মামুনুল হককে হাজির করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল এক নারীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হক অবস্থান করার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে অবরুদ্ধ হন। এ ঘটনার পরপরেই হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা রয়্যাল রিসোর্টে হামলা-ভাঙচুর করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা স্থানীয় সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর চালায়। ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলায় মামুনুল হকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া চলতি বছরের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনায় তাকে আসামি করে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এই পাঁচটি মামলায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোনারগাঁয়ের ধর্ষণ মামলায় ১০ দিন এবং সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের বাকি চার মামলায় সাত দিন করে মোট ৩৮ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ মামলায় তিন দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ এপ্রিল ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা। যাকে মামুনুল হক সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে তার ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ বলে দাবি করেছিলেন।