মিতুর পিতার দায়ের করা নতুন একটি মামলায় নিহতের স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।
আজ (১২ মে) দুপুরে বাবুল আখতারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে বন্দরনগরীর পাঁচলাইশ থানায় নতুন মামলাটি দায়ে করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। মামলার এজহারে প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে মোট ৮ জনকে আসামী করা হয়। বাকী ৭জন আসামি হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতাশেমুল ভোলা, ওয়াসিম ওরফে মোতালিব, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ওরফে সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া। এর মধ্যে কামরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এর আগে দুপুর ২ টার দিকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও.আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে বাবুল আক্তার মামলার বাদী হলেও মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, বাবুল আক্তার তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম।
পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় বাদি ছিলেন স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।