মসজিদের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় এক কিশোরী (১৫) সহ হুসাইন আহমেদ সিরাজী (৪০) নামের এক ইমামকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। গত সোমবার রাতে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন বক্তারপুর নতুনপাড়া জামে মসজিদের
অভিযুক্ত ইমাম হুসাইন আহমেদ সিরাজী দুই সন্তানের জনক। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভূঁয়াপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি ঐ মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি মসজিদ সংলগ্ন মনোয়ারা বেগম মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সাহরি খাওয়ার জন্য উঠে মসজিদের ভেতর শব্দ শুনতে পান। এতে তার সন্দেহ হলে মসজিদের দিকে এগিয়ে গিয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে ইমামকে এক কিশোরীর সঙ্গে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ দেখতে পান।
এরপরে তাঁর ডাকে স্থানীয়রা এসে মসজিদের বাইরে তালা দিয়ে আমিনপুর থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভোর ৩টার দিকে ওই ইমামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ার পর ইমাম হুসাইন আহমেদ সিরাজী বলেন, ঐ কিশোরী আমার ছাত্রী। আমরা কোনো খারাপ কাজ করিনি।
এত রাতে ঐ কিশোরী মসজিদের কেন- স্থানীয়দের এই প্রশ্নের জবাব ইমাম দিতে পারেন নি।
তবে কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার নাবালিকা মেয়েকে ওই ইমাম ফুসলিয়ে এ কাজ করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।‘
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, ওই কিশোরীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।