ঝালকাঠীর নলছিটি থানায় ডিজিাটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক খলিলুর রহমানকে মঙ্গলবার ভোরে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খলিলুর রহমান, স্থানীয় দৈনিক সময়ের বার্তা ও জাতীয় দৈনিক জনতা পত্রিকার নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধি, একই সাথে সে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন এর উপজেলা সভাপতি।
নলছিটি থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, খলিলুর সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে পরাজিত হন। এর পর থেকে তিনি বিজয়ী কাউন্সিলর শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে ধারাবাহিক পোষ্ট দিয়ে আসছিলেন।
গত ৯ই মে তিনি নলছিটি পৌর মেয়র ওয়াহেদ খান, কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোষ্ট দেন।
ওসি জানান সোমবার রাতে কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে রাতেই তাকে সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো। তার মুক্তি দাবী করেছেস বরিশাল জেলা সুজনের সম্পাদক রফিকুল আলম।
সাংবাদিকের স্ত্রী নারগিস আক্তার লুনা জানান, গতকাল রাত ১ টায় ৪ জন পুলিশ আমাদের নলছিটির ভাড়া বাড়িতে আসে। এদের মধ্যে ২ জন সিভিলে ২ জন পোশাক পড়া। ছিল। এসময় আমার স্বামী ফোন করতে চাইলে তারা থাবা দিয়ে ফোন নিয়ে যায়। তারা বলে আপনার নামে শহীদুল ডাকাতির মামলা দিছে। পরে আমার স্বামী নামাজ পড়ার অনুমতি চাইলে ২ রাকাত নামাজ পড়ার পরে তাকে নিয়ে যায়। আজ সকালে পৌর চেয়ারম্যান কাউন্সিলর শহীদুল এর হাতে পায়ে ধরেছি তার জামিনের জন্য কিন্ত কোন কাজ হয়নি। ‘মামলার এজাহারে শহীদুল আমার স্বামীকে পেশাদার ডাকাত’ উল্লেখ করে মামলা দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই’ তিনি আর্তকন্ঠে জানান।
খলিলুর রহমান এর ফেইসবুকের সর্বশেষ পোষ্টে ( সোমবার) ৭ং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম এর নামে বরাদ্ধকৃত ৫০ হাজার টাকার রাস্তার সংস্কার প্রকল্প বিষয়ে মেয়রে দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য সর্নিবন্ধ অনুরোধ ছিল।