বরিশাল সিটি কর্পোশেনের (বিসিসি)মাসব্যাপী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পূর্ণগতিতে এগিয়ে চলছে।
’নগরীরর সকল খাল সমূহের বাধা অপসারণ, ও ভরাট হয়ে যাওয়ার অংশ সমূহ এই অভিযানে অপসারণ করা হবে’ বলে জানান বিসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম। ‘আমরা এই অভিযানের মাধ্যমে নগরীরর মধ্যে দিয়ে বহমান প্রধান ৫/৬ টি খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও দখলকৃত এলাকা উদ্ধার , ও সকল ড্রেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করবে’ জানান তিনি।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার এই ব্যাপক অভিযান গত ২৬ এপ্রিল নগরীর নবগ্রাম খালের চৌমাথা পয়েন্টে উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
বিসিসি কর্মকর্তারা জানান আগামী বর্ষা মওসুমে নগরীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতেই এই অভিযান চলছে। এর মাধ্যমে খাল ও ড্রেন কে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা ও দখল কৃত খালের জমি উদ্ধার করা হবে। প্রাথমিক ভাবে প্রধান প্রধান খাল লাকুটিয়া খাল, জেল খাল, সাগরদী খাল, আমানত গঞ্জ খাল, নবগ্রাম খাল এ এইঅভিযান পরিচালনা করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও সকল বাধাসমূহ দূর করা হবে।
বিসিসি পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম দ্য ডেইলী স্টার কে জানান পূর্বে নগরীতে ৪৬ টি খাল থাকলেও দখল , দূষণের কারণে এর মাত্র অর্ধেকের অস্তিত্ব রয়েছে। এই খাল গুলিকে উদ্ধার করে সৌন্দর্যবর্ধন করা সহ একটি প্রজেক্ট গত ২ বছর আগে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলেও এখন পর্যন্ত তা অনুমোদিত হয়নি। পরবর্তীতেএই প্রকল্পটি সংশোধন ও পরিবর্ধন করে এক বছর আগে ২৭০০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট পাঠানো হলেও স্থানীয় সরকার বিভাগে এটি অপেক্ষমান রয়েছে।
বিসিসি মেয়রের একান্ত কর্মকর্তা জানান আমরা এই খাল ও ড্রেণের প্রবাহ ফিরিয়ে আনব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ জানান, গত বছর নগরী ব্যাপক জলাবদ্ধতায় ডুবে গিয়েছিল। আগামী বর্ষা মওসুমে যেনো নগরী জলবাদ্ধতায় যুবে না যায় সে জন্যই বিসিসির নিজস্ব অর্থায়নে, এই ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
.