করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদনসংক্রান্ত ফাইলটি দেখে মতামত জানানো হবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ‘বিদেশে নেওয়ার আবেদন সংক্রান্ত ফাইলটি গতকাল বুধবার রাত ১১টায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে এসেছে। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া শেষ করে সেটি তার (মন্ত্রী) কাছে আসবে। তারপর সেটি দেখে এ বিষয়ে মতামত দেবেন।’
করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আবেদন করেছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় লিখিত আবেদনটি নিয়ে যান তিনি। পরে আবেদনপত্রটি পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আবারও তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।
এদিকে, সরকারের অনুমতি পেলে যে কোনো সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দিতে বিদেশে নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দল ও তার পরিবার।
বিএনপি চেয়ারপারসন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার যে কোনো সময় তাকে চার্টার্ড বিমানে করে সিঙ্গাপুর হয়ে লন্ডন নেওয়া হতে পারে। তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যরাও থাকবেন। খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।