গুলশানের ফ্লাটে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করেছেন মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ। রবিবার ( ২ মে) এই মামলা দায়ের করা হয়। মুনিয়ার পারিবারিক সূত্র থেকে এই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন। মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া আবেদনটি নিলেও মুনিয়ার বোনের করা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার তদন্ত চলায় আপাতত এটির কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
আদালতের পেশকার মাসুদ পারভেজ জানান, ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৩০২ ধারার হত্যা মামলার আবেদনটি স্থগিত থাকবে।’
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর মুনিয়া ও শারুনের কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হওয়া ছড়িয়ে পড়ার পরে হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
শারুন সাংবাদিকদের জানান, মুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর হোয়াটসঅ্যাপে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটি। তখন শারুন তাকে জানান- মুনিয়া যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, সেই একই ব্যক্তির সঙ্গে তার সাবেক স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল।
এদিকে, মুনিয়া হত্যা মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে আরও দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই উন্মোচিত হবে মুনিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ দিনই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছিলেন।