শীতের প্রহর তবে এতদিনে
গুটিয়েছে তার সমস্ত কৌশল
তারপর বসন্তে বিলীন অবশেষ।
সব ধুপছায়া।
গ্রীষ্মের দাবানলে পুড়ে গেল সন্যাসীর
কুয়াশা চাদর।
তবে বলেছিল শীতেরা একদিন
চৈত্রেরও শেষরাতে এসে-
“দিয়েছিতো রোদেলা সকাল
মনে আছে?”
কৃতঘ্ন নই তবু মনে আছ
ড্রেনের পাশে ষ্টেশনের মোড়ে
এক টুকরো আগুনের সাথে
প্রকৃতির লেহণ সারারাত।
আদিমতা।
অপরিমিত ক্ষুধার আড়ালে
পিরামিড; জরায়ুর ডাক
অশালীণ উর্বর জমিতে উপ্ত
আগাছার মতো
আকাল ও ন্যাংটা জারজ।
খোদার ঘুমের ঘোরে, তারা
চলে এসেছিল, চলে আসে
নরক থেকে ভূমির নরকে।
রোদের প্রতীক নিয়ে ছুটে যায়
সুগ্রীব ধনুকের মতো।
মনে হয়-
শুকনো কাঠের সাথে সেইসব
বাহুর পরম্পরা
অবশেষে দাবানল,
অজস্র ক্ষুধার নীচে কংক্রিট
বালু আর আগুনের সোরা,
মিলিত নাভিশ্বাস।
তারা বেজে ওঠে ঠকঠক করে
মে দিবসে
শীত ও বসন্তের শেষে শুকনো গাছেরা।
শীতের শেষে সবুজ যে পাতারা গজিয়েছে আজ
ঠিক তার মতো প্রতিটি হাড়ের থেকে
নতুন স্ফুলিংগের প্রজন্ম বেরিয়ে আসে,
বিক্ষোভের বর্নাঢ্য রেলিতে-
মে দিবসের ডাকে।
ঈশ্বরের ঘুম ভেঙে গেলে
হয়তোবা তারাই আবার
মে দিবসে-
অবারিত জোছনায় অভিষিক্ত হবে।
মে দিবসের কবিতা
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মহাকবি মধুসূদন পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক, কবি ও কলামিস্ট।
অধ্যক্ষ,
হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার ডিগ্রি কলেজ, পটুয়াখালী।
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন