মধ্যরাতের কবিতা ১
একটা পূর্ণদৈর্ঘ্য চুমুর মাপে নদী সেঁলাই করবো আমরা।
ঠোঁটে চাঁদ
জলে জ্যোৎস্না
তীরে হাস্না হেনার ঘ্রাণ।
ভেসে যায় ঢেউ
ভেসে যায় গান
তোর বুকের একজোঁড়া
নাজুক রাজহাঁস
করতলে লেখে যায়
মুগ্ধতা।
এরপর সমতল
সরস পালকের
উপত্যকা।
আরো একটু গভীরে
সমুদ্র।
আহা!নোনা
আহা!স্বর্গ…
ডুবিয়ে দাও…
মধ্যরাতের কবিতা ২
সাদা কাগজে
কাঁটা কম্পাস
মেলে আছে।
বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতে
লম্বটা গেঁথে দাও।
আরো কিছু ব্যসার্ধ,
বৃত্ত,বিন্দু, সরল রেঁখা
ত্রিকোণ-
এবার ঠোঁট ফাঁক করো
তৃষ্ণা আঁকি।
পিথাগোরাস
এবার নেমে পরুন
উপপাদ্যের ভিতর;
নাবিক প্রমানিত
হোক ঢেউ ও
সমুদ্র সংকেতের
গভীরতায়…
মধ্যরাতের কবিতা ৩
মাতাল পূর্ণিমায় ডুবে যায় রাত।
সবুজমাঠ
টলমলে দীঘি
একমুঠো আঁধার
খোলাচুলে নদী
কালো কালো ঢেউ।
বৎসায়নের
মগজে ডুবে যাও তুমি
ডুবে যাই আমি
আলো অঁধারে
খুলে দাও শাড়ি
পারিযায়ী প্রত্নবিস্ময়।
টলমলে চাঁদ
বাতাসে দোলে
তবলা তালে দোলে
পালঙ্ক, উষ্ণতা-
নোনা মঞ্চের শীল্পি
তুমি আমি
ঠোঁটে চাঁদ
শরীরে ভরতনাট্যম।
মধ্যরাতের কবিতা ৪
শরীর জুরে থৈথৈ শীতকাল
খুচরো অসুখে হলুদপাতারা
ঝরেপরে।
চোখের বারান্দায় গল্পরা শুকায়
উষ্ণতা তোমার পাড়ায়
অন্ধকারে।
লোডসেন্টিংয়ে
পথ ভুলে যাও
জোনাক জোনাক নেশায়।
লেপ্টে দাও
বুকের ওপর বুকটা
এবার।
আহা!
ঠোঁটটা নাও
ঠোঁটের ভেতর।
লতার মতো
জরিয়ে ধরো
জরোয়া মখমলে।
শরীরটা এবার
বেহালা বাজাক
রত্রিসুখে।
মধ্যরাতের কবিতা ৫
ঘুমেরা গল্পকরে
গল্পেরা ঘুমিয়ে পরে
শরীর জেগে থাকে
সংগীতে সংঘে।
রাতে নোনা গান
জলের ঘ্রাণ
বউল মেঘ
সবুজ গ্রাম
ক্রোমে ডুবে যায়
রাত্তির গভীরে…