জ্যেষ্ঠ ভাইরলজিস্ট বলেন ভারতের করোনা পরিস্থিতি সর্বোচ্চ খারাপ অবস্থায় পৌছবে আরও দুই সপ্তাহ পর।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরবিন্দ কেজরিওয়াল লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন যখন ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৪৯,৬৯১ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে আর করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে ২,৭৬৭ জন গত ২৪ ঘণ্টায় যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। শনাক্ত রোগীর ৫৪ ভাগ পাঁচটি রাজ্যের – মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাট এবং কেরালা।
ইন্ডিয়ান একপ্রেস একটি সরকারি মূল্যায়ন উদ্ধৃত করে বলে ভারতে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা মে মাসের মাঝামাঝিতে সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌছবে যখন এটি ৫ লক্ষের উর্ধে উঠতে পারে।
হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ শেষ পর্যায়ে। আর এর মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে।
দরিদ্র রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ভিড় করায় সেখানে প্রয়োজনীয় আসন শেষ হয়ে গেছে।
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাক্সিনের কাঁচামাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ড. আনন্ত ভান, একজন বায়োএথিক্স এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, “করোনা শনাক্ত রোগীর এই ঊর্ধ্বগতির জন্য ভাইরাসের ভ্যারিঅ্যান্ট এবং মিউটেশন মূল কারণ নয়।” এটির জন্য দায়ী “আমাদের নীতি নির্ধারকদের অদক্ষতা এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ভাবনা পরিত্যাগ।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সোমবার জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর টুইট করেন, “স্বাস্থ্যসেবায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে পারবে।”